তামিম-মুশফিকের নৈপুণ্যে প্রাইম ব্যাংকের সহজ জয়

প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্সে বল হাতে জ্বলে উঠলেন হাসান মাহমুদ, রেজাউর রহমান রাজা, নাজমুল ইসলাম অপু ও সানজামুল ইসলাম। এরপর ব্যাটে ঝড় তুললেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে দারুন এক জয় পেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

গতকাল মঙ্গলবার ফতুল্লায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭ উইকেটে হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করা গাজী গ্রুপকে ১৮১ রানে আটকে রেখে প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা এগিয়ে রাখেন কাজ। ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন রাজ, ৪১ রানে ৩টি হাসান মাহমুদ। রান তাড়ায় প্রাইম ব্যাংক জিতে যায় ৩১.৩ ওভারেই। ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৪ বলে ৭৬ রান আসরে তামিমের ব্যাট থেকে। বোলারদের নৈপুণ্যের ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ তিনিই। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। দারুণ ছন্দে লিগ শুরু করা তামিম খেই হারিয়েছিলেন সবশেষ কয়েক ম্যাচে। চার ম্যাচ পর আবার তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ ছোঁয়া ইনিংস। লিগে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৬ ফিফটিতে ৫১৫ রান করে রানের তালিকায় তিনি আছেন পাঁচে। সুপার লিগে তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল প্রাইম ব্যাংক। সব মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে আট জয়ে ৫ নম্বরেই রইল তারা। সুপার লিগে তিন ম্যাচেই হেরে গাজী গ্রুপ সাত জয় নিয়ে আছে ছয় নম্বরে। খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি গাজী গ্রুপ। দলের পাঁচ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁলেও ৪০ ছুঁতে পারেননি কেউই। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৩৯ রান করেন আট নম্বরে নামা আব্দুল গাফফার সাকলাইন। সমান বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন মইন খান। প্রাইম ব্যাংকের দুই বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ও সানজামুল উইকেট নেন দুটি করে। জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেয়া পারভেজ হোসেনকে এ দিন পায়নি প্রাইম ব্যাংক। তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন শাহাদাত হোসেন। তীব্র গরমের মধ্যে রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান যোগ করেন দুজন। হাবিবুর রহমানের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ৩০ বলে ১৬ রান করা শাহাদাত। তিনে নেমে প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দেন জাকির হাসান। তবে প্রাইম ব্যাংকে বিপাকে পড়তে হয়নি। দলকে এগিয়ে নেন তামিম ও মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান গড়ে তোলেন ৬৬ বলে ৭২ রানের জুটি। ২২তম ওভার শেষে পানি পানের বিরতিতে বেশ ক্লান্ত দেখা যায় তামিমকে। নিজেই চোখে-মুখে বরফ দিতে থাকেন তখন। পরে খেলা শুরু হলে ওই ওভারেই মইনের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ ওপেনার। তামিম ফেরার পর আর বিপদ ঘটতে দেননি মুশফিক ও মোহাম্মদ মিঠুন। ৫৪ বলে ৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন তারা। লিগে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তৃতীয় ৫০ ছোঁয়া ইনিংসে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ বলে ৫৯ রান করেন মুশফিক। ২৯ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন।