ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভারতের কাছে সিরিজ হারল টাইগ্রেসরা

ভারতের কাছে সিরিজ হারল টাইগ্রেসরা

পাওয়ার প্লে-টা দারুণ কাটল বাংলাদেশের জন্য। দিলারা আক্তারের এনে দেওয়া ভালো শুরু টেনে নিতে পারলেন না বাকিরা। অল্প রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ভারত। পরে তাদের ঝুলিতে যায় আরো একটি সহজ জয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত নারী ক্রিকেট দল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করে বাংলাদেশ। ওই রান ৯ বল হাতে রেখে জয় পায় ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা খাতুন। বিশেষত দিলারা আক্তার বাউন্ডারি এনে দেন, তিনি করতে থাকেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংও। তাতে অবশ্য ভাগ্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন দিলারা। পঞ্চম ওভারে দুই বলে দুইবার জীবন পান তিনি।

প্রথমে মিড অনে তার ক্যাচ ছাড়েন হারমানপ্রিত কৌর। তার ঠিক পরের বলে লেগ বাই থেকে এক রান পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় রানের জন্য ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসার পর আর ফেরার চেষ্টাও করেননি তিনি। অদ্ভুত কারণে ক্রিজ ছেড়ে দাঁড়ালেও থ্রো করে স্টাম্প ভাঙতে পারেননি ভারতীয় ফিল্ডার। পরে দিলারার আরো একটি ক্যাচ ছাড়ে ভারত। আরেকবার ডিরেক্ট থ্রোতে তার স্টাম্প ভাঙতে পারেননি ভারতীয় ফিল্ডার। তার পরের বলে অবশ্য ফিরে যান আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। তিনি আউট হন ফ্রি হিট বলে। রাধা যাদবের করা বল তুলে মারতে গিয়ে কাভারে দাঁড়ানো দীপ্তির হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর রানের জন্য দৌড় শুরু করেন তিনি। দীপ্তির থ্রোতে ১৬ বলে ৯ রান করা মুর্শিদার প্রান্তের স্টাম্প ভাঙেন রিচা ঘোষ। পরের ওভারে ফিরে যান দিলারাও। বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া এই ওপেনার রেনুকা সিংয়ের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন রিচার হাতে। পাঁচ চারের ইনিংসে ২৭ বলে ৩৯ রান করেন দিলারা। তার বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেন নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি। কিন্তু রানের গতি কমে যায় কিছুটা। তাদের ২৮ বলের জুটিতে একটি বাউন্ডারিতে আসে ২৩ রান। এই জুটিও ভাঙে অনেকটা খামখেয়ালিতে। থার্ড ম্যানে ফেলে দ্রুত রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন জ্যোতি ও সোবহানা। ক্রিজে ব্যাট পৌঁছালেও সোবহানার ব্যাট ছিল শূন্যে ভেসে। তাকে আউট হয়ে যেতে হয় ২০ বলে ১৫ রান করে। পরের বলে ফাহিমা আক্তার হয়ে যান এলবিডব্লিউ। বাংলাদেশের ভালো সংগ্রহ গড়ার শেষ ভরসা ছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।

কিন্তু তিনও বেশিদূর টানতে পারেননি। ১৯তম ওভারে রাধার বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে যান জ্যোতি। বল তার প্যাডে লাগলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। বল উচ্চতার কারণে স্টাম্প মিস করতে পারতো বলে টিভি রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে। মাঠ ছাড়ার সময় হতাশা প্রকাশ করেন জ্যোতিও। তার বিদায়ের পর বাকি ৯ বলে আরও তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রাবেয়া খান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত