ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সব দায় নিজের কাঁধে নিলেন এমবাপ্পে

সব দায় নিজের কাঁধে নিলেন এমবাপ্পে

দল জিতলে কিংবা তাতে অবদান রাখলে কৃতিত্বটা দেওয়া হয় কিলিয়ান এমবাপ্পেকেই। ঠিক একই কারণে ব্যর্থতার দায়ভারও নিচ্ছেন পিএসজির প্রাণভোমরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ফল বদলাতে না পারায় আরেকটি ব্যর্থতার গল্প লিখেছে পিএসজি। ক্লাবটির শেষ মৌসুমে এমবাপ্পে নিজেও ফিরে যাচ্ছেন ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে। ডর্টমুন্ডের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পার্ক দ্য প্রিন্সেসের ভাগ্য বদলাতে পারেনি পিএসজি। উল্টো গোল হজম করে দুই লেগ মিলিয়ে বিদায় নিয়েছে ২-০ গোলে। তার মধ্যে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হলেও পিএসজি কাজে লাগাতে পারেনি। সুযোগ হাতছাড়া করেছেন স্বয়ং এমবাপ্পেও। ম্যাচের পর তাই ফরাসি ফরোয়ার্ড আক্ষেপ করেই বলেছেন, ‘আমি দলকে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। হয়তো সেটা যথেষ্ট ছিল না।’ বক্সে সবচেয়ে দক্ষতা ও সামর্থ্যবান খেলোয়াড় হিসেবে এমবাপ্পের নামই সবার আগে আসে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি তিনি, ‘বক্সে সবচেয়ে দক্ষ কারও নাম এলে আমাকে লক্ষ্য করেই বলা হয়। আমারই স্কোর করা উচিত ছিল। যার মাধ্যমে ম্যাচটার ফল নির্ধারিত হতো। ফলে যখন সব কিছু অনুকূলে থাকে কিংবা ভালো যায়; আমি সব কিছুর কৃতিত্বে থাকি। আর তেমনটা না হলে সব কিছুর দায়ভার নিজের। এটা মানতে আমার সমস্যা নেই।’

অথচ ৭০ ভাগ বল দখলে ছিল পিএসজির। শটও নিয়েছে ৩০টি। কিন্তু লিগ ওয়ান জয়ীরা পোস্টেই বল মেরেছে চারবার! ফিরেছেও খালি হাতে। এমবাপ্পের মতে পিএসজি মোটেও হতভাগ্য ছিল না। তারা আসলে যথেষ্ট ভালো খেলেনি, ‘আমি জানি না তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে কি না। তবে বক্সে তারা আমাদের চেয়েও ভালো ছিল। হয়তো দুবার কিংবা একবার এসেছে। স্কোর করেছে। আমরা প্রায়ই সেখানে গিয়েও স্কোর করতে পারিনি। এটাই কিন্তু প্রকৃত ঘটনা। ফলে হতভাগ্য কিংবা ভাগ্য সহায় ছিল না এমনটা বলবো না। নিজেরা ভালো হলে বল পোস্টে আঘাত করে না। এটা জালেই ঢুকে। ফলে বলতেই হচ্ছে আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত