ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফাইনালে ডর্টমুন্ড

ফাইনালে ডর্টমুন্ড

এ মৌসুম শেষে পিএসজি ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের। ফলে এবারই প্যারিসিয়ানদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার শেষ সুযোগ ছিল ফরাসি ফরোয়ার্ডের। কিন্তু তা হতে দিল না বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। দারুণ জয়ে ১১ বছর পর ফাইনালে উঠল জার্মান জায়ান্টরা।

সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতে এমনিতেই কিছুটা স্বস্তিতে ছিল ডর্টমুন্ড। গোলের ব্যবধানটা ধরে রাখতে পারলেই হতো তাদের। তবে ফিরতি লেগেও একই ব্যবধানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো জার্মান ক্লাবটি। দুই লেগ মিলিয়ে তাদের জয়টা এলো ২-০ ব্যবধানে। একমাত্র গোলটি করেছেন ম্যাট হামেলস। নিজেদের ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে গতকাল রাতে ডর্টমুন্ডের রক্ষণব্যূহ ভেদ করতে পারেনি পিএসজি। উল্টো আঁটসাঁট রক্ষণে পিএসজির আক্রমণ ঠেকিয়ে সাফল্য পেল ডর্টমুন্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফেলে তারা।

আর তাতে ২০১২-১৩ সালের পর এই প্রথম ইউরোপ সেরার ফাইনালে উঠল দলটি। স্বাগতিক দর্শকদের উপস্থিতি ও ব্যাপক সমর্থন সত্ত্বেও এ ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এমবাপ্পে। পিএসজির জার্সিতে সম্ভাব্য শেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে তার জ্বলে উঠতে না পারা ভুগিয়েছে দলকেও। অবশ্য ডর্টমুন্ডের জমাট রক্ষণ ভাঙা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছিল পিএসজির সবার জন্যই। প্রথমার্ধে তাই বলার মতো তেমন কোনো আক্রমণ দেখা যায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডর্টমুন্ডকে চেপে ধরেছিল পিএসজি। কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল তারা। এর মধ্যে জাইরে এমেরির শট পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশায় ডুবতে হয় তাদের। এর তিন মিনিট পর জুলিয়ান ব্র্যান্ডের কর্নারে লাফিয়ে হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন হামেলস।

তাতে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে স্বাগতিকদের গ্যালারিতে। পিছিয়ে পড়ার পর অবশ্য ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় পিএসজি। কয়েকবার সুযোগও আসে। কিন্তু প্রতিবারই দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয় তাদের। এর মধ্যে ৬১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নুনো মেন্দের জোরালো শট সাইড পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। শেষদিকে এমবাপ্পে ও ভিতিনহার দুটি প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে লুইস এনরিকের দল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত