টানা পঞ্চম হার এড়াতে পারলেন না জ্যোতিরা

প্রকাশ : ১০ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতের মেয়েদের কাছে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। একটি দুটি তিনটি নয়। টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে হার। সিরিজের শেষ ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে সম্মান রক্ষার লড়াই। তাতে কিছুটা লড়াই করতে পারলেও হার এড়াতে পারেনি নিগার সুলাতানা জ্যোতিরা। ফলে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ে সফরকারী ভারত। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সবশেষ ১৩ ম্যাচে হারল বাংলাদেশের মেয়েরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ২১ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি নিগার সুলতানারা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় ২৫ রানেই দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারিকে হারায় তারা। তিনে নেমে রুবিয়া হায়দার কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। ২১ বলে ২০ রান করেন তিনি। তবে হতাশ করেন অধিনায়ক নিগার সুলাতানা। পারেননি সোমা আক্তারও। তবে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন রিতু মনি ও শরিফা খাতুন। স্কোরবোর্ডে ৫৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে আশা সোভানার বলে উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে শেষ মুহূর্তে মন পরিবর্তন করে স্টিয়ার করতে গেলে লাইন মিস করেন বোল্ড হয়ে যান রিতু। কার্যত তখনই হার দেখতে থাকে টাইগ্রেসরা। এরপর শরিফা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন রিতু। ৩৩ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। ২১ বলে ৩টি চারে হার না মানা ২৮ রানের ইনিংস খেলেন শরিফা। শেষ দিকে ১১ বলে ১৪ রান করেন রাবেয়া।

ভারতের পক্ষে ২৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন রাধা যাদব। ২টি শিকার সোভানার। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। শেফালিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সুলতানা খাতুন। ওপেনিং জুটিকে ভাঙার পর দয়ালান হেমালাথাকে নিয়ে ৩৭ রানের আরো একটি জুটি গড়ে নাহিদা আক্তারের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন স্মৃতি। এরপর অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরের সঙ্গে হেমালাথার জুটিতে বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় ভারত। তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৬০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। হারমানপ্রিতকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাহিদা। এরপর রাবেয়া খানের ঘূর্ণিতে দ্রুত হেমালাথা ও সাজিভান সাজানাকেও তুলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তবে দিপ্তি শর্মার সঙ্গে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিচা ঘোষের অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের জুটিতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে যায় সফরকারীরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন হেমালাথা। ২৮ বলে সমান ২টি করে চার ও ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। স্মৃতি করেন ৩৩ রান। ২৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ২৪ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩০ রান করেন হারমানপ্রিত। ১৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন রিচা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন রাবেয়া খান ও নাহিদা আক্তার। ১টি উইকেট নেন সুলতানা খাতুন। এই ম্যাচে একাদশে আসা ফারিহা তৃষ্ণা ২ ওভার বোলিং করে ছিলেন উইকেটশূন্য।