ফিফার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুমকি

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে প্রায় সারা বছরই ব্যস্ত সময় কাটে ফুটবলারদের। যেন দম ফেলানোর ফুসরত নেই তাদের। এমন অভিযোগ খেলোয়াড় ও কোচদের কণ্ঠে মাঝে মাঝে প্রতিধ্বনিত হয়। এমন অবস্থার মধ্যে ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রো এবং ওয়ার্ল্ড লিগস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএলএ)। প্রতিযোগিতার আয়োজন পরিকল্পনা পর্যালোচনা করতে ফিফার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থা দুটি। গত বৃহস্পতিবারের বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবি মানা না হলে ফিফার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে ফিফপ্রো ও ডব্লিউএলএ। আগামী মৌসুম থেকে ইউরোপের তিনটি ক্লাব প্রতিযোগিতা-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে দলের সংখ্যা বেড়ে হবে ৩৬। আর ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত মাঠে গড়ানোর কথা ৩২ দলের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। সম্প্রসারিত এসব প্রতিযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও সচিব মাতিয়াস গ্রাফস্ত্রমকে একটি চিঠি দিয়েছে ফিফপ্রো এবং ডব্লিউএলএ। যেখানে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক ফুটবল পঞ্জিকা এখন ‘অনুসরণ অযোগ্য।’ ঘরোয়া লিগগুলোই তাদের প্রতিযোগিতা যথাযথভাবে আয়োজন করতে পারছে না। আর খেলোয়াড়দের তো তাদের সীমার বাইরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, যা উল্লেখযোগ্য চোটের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই চিঠির ব্যাপারে ফিফা তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও গতকাল শুক্রবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে তারা। সংস্থাটি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক পঞ্জিকায় তাদের প্রতিযোগিতার সুবিধার্থে তারা একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফিফার জবাব দেয়া চিঠিটি দেখার দাবি করেছে রয়টার্স। সেখানে গ্রাফস্ত্রম বলেছেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচের সূচির (আইএমসি) বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন তারা। তিনি আরও বলেছেন, ২০২১ ও ২০২২ সালে ফুটবলের ভবিষ্যৎ পঞ্জিকা নিয়ে আলোচনায় ফিফপ্রো ও ডব্লিউএলএও জড়িত ছিল। ২০২৫-২০৩০ সালের মধ্যে সময়ে ফুটবলের সূচি কেমন হবে, এর নীতিগত অনুমতি ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই দিয়েছিল ফিফা কাউন্সিল। এর তিন মাস পর পঞ্জিকার অনুমোদনও দেয় কাউন্সিল। গ্রাফস্ত্রম বলেছেন, মৌসুম শেষে বৈশ্বিক ফুটবল পঞ্জিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য ফিফপ্রো ও ডব্লিউএলএ এর সঙ্গে পুনরায় বসতে রাজি ছিল ফিফা। তবে ডব্লিউএলএ ও ফিফপ্রোর ভাবনা ভিন্ন। আগামী ১৭ মে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেস সভায় উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চায় তারা।