বিশ্ব ক্রিকেটে লেগ স্পিনারদের দাপট চললেও এই জায়গায় অনেকটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। সবশেষ কয়েক বছর লেগ স্পিনারের জন্য বাংলাদেশ শুধুই হাহাকারই করেছে। ‘উইকেটশিকারি’ বোলারদের তুলে আনতে দেশের আনাচে-কানাচে থেকে ৮০ জন তরুণ লেগ স্পিনারকে খুঁজে বের করেছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট।
যাদের নিয়ে গত ২ ও ৩ মে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে ক্যাম্প করা হয়। সেখানে ট্রায়ালের মাধ্যমে ২০ জন লেগ স্পিনারকে বাছাই করা হয়। সঙ্গে যোগ করা হয়েছে বয়সভিত্তিক দলের আরো পাঁচজনকে। এই লেগ স্পিনারদের নিয়ে বিসিবি দীর্ঘমেয়াদে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে। শাহেদ মাহমুদের পাশাপাশি যেটিতে যুক্ত আছেন জাতীয় দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ চললেও গতকাল শনিবার ছিল বিরতি। এদিন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অনুশীলন নেই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তরুণ লেগ স্পিনারদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটালেন জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। মিরপুরে ইনডোরে সাবেক পাকিস্তানি লেগ স্পিনার প্রায় ৩ ঘণ্টা কাজ করলেন তাদের নিয়ে। ক্যাম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করে গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইনাম মোহাম্মদ কাউসার বলেন, ‘উনাকে পেয়েছি আমরা, ছেলেদের কিছু টিপস দিয়েছেন উনি। জাতীয় দলের আজ কোনো ডিউটি ছিল না। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি। রিস্ট স্পিনার যারা কাছাকাছি ছিল তাদের এনে ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ গেম ডেভলপমেন্টের পাকিস্তানি স্পিন কোচ শাহিদ মাহমুদের তত্ত্বাবধানে সারাদেশজুড়ে স্পিনার হান্ট করে বিসিবি। ৬৪ জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে ৮০ স্পিনার বাছাই করা হয়। এরপর মিরপুরে ট্রায়াল নিয়ে এই ৮০ জন থেকে ২০ জনকে বাছাই করা হয়। এই ২০ জন থেকে কাছাকাছি থাকা ১৬ জনকে নিয়ে আজ মুশতাকের সঙ্গে ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। ক্যাম্পে মুশতাকের সঙ্গে ছিলেন কোচ শাহিদও। তিনি জানিয়েছেন মুশতাক প্রতিটি স্পিনারের সঙ্গে আলাদাভবে কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে সম্ভবানা দেখেছেন। শুধু তাই নয়, এই তরুণ স্পিনারদের জন্য মুশতাকের দরজা সর্বদা খোলাই থাকবে বলে জানিয়েছেন। শাহিদ বলেন, ‘উনি সবার সঙ্গে কাজ করেন। তাদের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। এদের লম্বা সময় ধরে পরিচর্যার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সবসময় এই লেগ স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। যে কোনো সাহায্যের জন্য তার সঙ্গে যে কোনো সময় যোগাযোগ করতে বলেছেন।’ এই মাসের শেষে লেগ স্পিনারদের নিয়ে ক্যাম্প শুরু হবে বলে জানিয়েছে গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগ। বছরে প্রাথমিকভাবে ১০ সপ্তাহ ক্যাম্পের পরিকল্পনা রয়েছে। আলাদা সময় বের করে এটি করা হতে পারে, মুশতাককে সুযোগ পেলেই লাগানো হবে কাজে। গেম ডেভলপপমেন্টের ম্যানেজার বলেন, ‘আজকে ১৬ জন স্পিনার ছিল। ওরা আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে আছে। তাদের একসঙ্গে করে আমরা শিগগিরই ক্যাম্প শুরু করবো। নিয়মিতভাবে শাহেদ মাহমুদের অধীনে এই ক্যাম্প চলবে। যখন কোনো সুযোগ হবে তখন উনি (মুশতাক) এসে টিপস দেবেন হয়তো।
