টপ অর্ডার নিয়ে উদ্বিগ্ন শান্ত

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন টাইগাররা। তবে সেটি লাল-সবুজ দলের পরীক্ষার বিষয় না। কুড়ি ওভারের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামার আগে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি শেষই বলা যায়। শেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। যাকে, যেখানে, যেভাবে বাজিয়ে দেখার দরকার ছিল, জিম্বাবুয়ে সিরিজে সেটাই করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও ঘরের মাঠে প্রত্যাশিত ফল হয়নি। কারণ, দাপুটে পারফরম্যান্স করতে পারেনি লাল সবুজ দল। সিরিজ জিতলেও বেশ কিছু জায়গায় রয়ে গেছে প্রশ্নের সুযোগ। সিরিজ শেষে খানিকটা তৃপ্তির ঢেকুর তুললেও টপ অর্ডার নিয়ে উদ্বেগের আভাস মিলল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে, ‘টপ অর্ডারে আমরা আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতে পারি। তাহলে আমার মনে হয় দলের জন্য ভালো হবে। ছন্দটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা কথাও বলবো, যে উইকেটে খেললাম এটা নিয়ে চিন্তা না করে সামনের জন্য চিন্তা করা ভালো। আমরা যদি ভালো শুরু করতে পারি তাহলে দলটা ভালো করবে।’ সিরিজে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬০ রান করেছেন তানজিদ হাসান। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪০ রান। তানজিদ ২টি ফিফটি পেয়েছেন। তাওহীদের ব্যাট থেকে আসে আরেকটি ফিফটি। এছাড়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত রান বড় না হওয়ায় বড় হয়নি দলীয় রানও।

নিজের ব্যাটিংও প্রয়োজন মত হয়নি। দলের প্রত্যাশা মেটাতে না পারলেও শান্ত ততটা চিন্তিত নন। সামনে ভালো করার সুযোগ দেখছেন তিনি, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী আমার ব্যাটিংটা হয়নি। কিন্তু আমি আমার যে প্রসেস বা স্কিল নিয়ে কিভাবে ডেভেলাপ করতে পারি সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। প্রত্যেকটা সিরিজ একটা ব্যাটসম্যানের ভালো যাবে এরকম কিছু না। এটা অলরেডি অতীত হয়ে গেছে। সামনে চিন্তা করছি ভালো কিছু করার।’ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী জুটি কেমন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের? শান্ত সোজাসাপ্টা কোনো উত্তর দেননি। বলেছেন, ‘এখানে সব কিছু চেষ্টা করেছি। এটাও একটা পরিকল্পনা ছিল লিটনকে দুই ম্যাচে ব্রেক দিয়ে সৌম্যকে খেলাবো। ও ইনজুরিতে ছিল। যে তিনজন ওপেন করলো তিনজনেরই সুযোগ আছে এগারজনে থাকার। প্রতিপক্ষের উপরে নির্ভর করবে আমরা ওপেনিংয়ে কাকে পাঠাব।’ শেষটিতে জিম্বাবুয়ে একরকম উড়িয়েই দেয় বাংলাদেশকে। ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজার ৭০ ছোঁয়া দুটি ইনিংসে অনায়াস জয়ই পায় সফরকারীরা। পঞ্চম টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্সে বলা চলে, বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে যে দাপট প্রত্যাশিত ছিল, সেটি যেন দেখা গেল জিম্বাবুয়ের খেলায়। পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে ফিফটিই মোটে ৪টি। মবোলাররাও ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে করেন ছন্নছাড়া বোলিং। এর মধ্যেই অবশ্য ইতিবাচক দিক খুঁজে নিয়েছেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, নিজেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভালো ফল মিলেছে। আজকের ম্যাচ যদি দেখেন, মিডল-অর্ডার একটু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে। এরকম বেশ কিছু জায়গা আছে। রিশাদ পুরো সিরিজে আমার মনে হয় খুব ভালো বোলিং করেছে। এই রকম যদি চিন্তা করা যায় তাহলে অবশ্যই অনেক ইতিবাচক দিক আছে এবং আমরা যে জিনিসগুলো আশা করেছিলাম, কাছাকাছি যেতে পেরেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কিছু বিষয় বিস্তারিতভাবেই তুলে ধরেন শান্ত। কোন জায়গায় তারা কাছাকাছি যেতে পেরেছেন, সেটিও বলেন তিনি। স্পিনাররা খুব ভালো করেছে। বিশেষ করে রিশাদ খুবই ভালো বোলিং করেছে। শেখ মেহেদি ভালো বল করেছে। মাঝখানে ওকে বিশ্রাম দিয়ে তানভিরকে খেলানো হয়েছে। সেও ভালো করেছে। এই জিনিসগুলো ভালো ছিল। বিশ্বকাপের আগে জমে ওঠা ম্যাচে জয় নিয়ে বের হওয়ার অভ্যাস সামনের দিনগুলোতে কাজে লাগবে মনে করেন শান্ত।