ঢাকা ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিস্টেমে পরিবর্তন চান ইমরুল কায়েস

সিস্টেমে পরিবর্তন চান ইমরুল কায়েস

দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ওপেনার ইমরুল কায়েস। লাল-সবুজ জার্সিতে সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন সেও প্রায় বছর পাঁচ হয়ে গেল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এ ওপেনারের। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেও থেকেছেন নির্বাচকদের চোখের আড়ালে। ওপেনিং নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত থাকা বাংলাদেশ বাজিয়ে দেখেনি রেকর্ড বইয়ে জ্বলজ্বল করা ইমরুলকে। নানা আলোচনা আছে তার দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে। সেসব আলোচনার কিছুটা বাস্তবতাও আছে; পরপর দুই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পরও বাদ পড়েছিলেন দল থেকে। দল থেকে এভাবে বাদ পড়া নিয়ে ইমরুল জানালেন, জাতীয় দলে খেলতে সাপোর্ট লাগে কিন্তু সেটা তিনি পাননি। পর্যাপ্ত সুযোগও তিনি পাননি। দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের সাবেক এ ওপেনার বলেন, ‘আমি অবশ্যই পর্যাপ্ত সুযোগ পাইনি। আমার এখনো মনে আছে, দুই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে পরের সিরিজে ছিলাম না। এটা কিন্তু সবার ক্ষেত্রে হয় না। আমার ক্ষেত্রে এসব প্রায়ই হতো। জাতীয় দলে খেলতে গেলে কিছুতো সাপোর্ট লাগে, অধিনায়ক-টিম ম্যানেজমেন্টের সাপোর্ট লাগে।’ ইমরুল কায়েস প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় দলে ক্রিকেটারদের সিলেকশনের প্রসেস নিয়েও। বদল আনার দাবি জানিয়েছেন এ প্রসেসে, ‘আমার মনে হয় এই সিস্টেমগুলো আরো সুন্দরভাবে পেশাদারভাবে হওয়া উচিত। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো খেলবে, তাদের সুযোগটা আগে হওয়া উচিত। এই প্রসেসটা থাকলেই কিন্তু একজন তরুণ ক্রিকেটার কিংবা বাদ পড়া ক্রিকেটার ফোকাস রেখে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে। ব্যর্থ হওয়ার পরও নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার সিস্টেমে পরিবর্তন আনা উচিত।’

সেই সাক্ষাৎকারে ইমরুল সামনে এনেছে নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে তার দূরত্বের বিয়ষটিও। দেশের সম্ভাবনাময়ী এ ওপেনারকে কখনোই ভুল ধরিয়ে দেননি নির্বাচক মিনহাজুল আবেদন নান্নুর কমিটি, ‘নান্নু ভাই কখনোই আমাকে কোনো স্পেস দেয়নি। আমাকে যদি নির্বাচকরা বলে দিত, তোর এই সমস্যা- এই জায়গায় তুই উন্নতি কর, কাজ কর, তাহলে আমরা তোকে নেব। তাহলে কিন্তু আমি মেসেজটা পেয়ে যাই। আমি কখনো কোনো মেসেজ পাই না। নান্নু ভাই একবার বলে তোকে টেস্ট দলে বিবেচনা করি না। আরেকবার বলে ওয়ানডে দলে বিবেচনা করি না। আবার কয়দিন পর বলে এই দুই ফরম্যাটের জন্যই বিবেচনায় আছিস। এর মানে তাদের পরিকল্পনায় গলদ আছে।’ ইমরুল জানিয়েছেন এখন আর তিনি জাতীয় দলে ফেরার কোনো আশাই করেন না। ঘরোয়াতেই পারফর্ম করে যেতে চান ফিটনেস যতদিন অনুমতি দেয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত