ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছয় তরুণের প্রথম

ছয় তরুণের প্রথম

কয়েক দিন ধরে বিশ্বকাপ দল নিয়ে ডানা মেলেছিল নানা ধরনের গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে গতকাল ঘোষণা করা হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপ দলে ডাক পান ১৫ স্বপ্ন সারথি। সেই দলের ৬ জন প্রথমবারের মতো খেলবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাকি ৯ জনের অভিজ্ঞতা আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার। খেলেছেন অন্তত একটি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিমান ধরছেন তাওহিদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলী অনিক ও তানভীর ইসলাম। বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে খেলার অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ সাকিব আল হাসান।

ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার মতো নিজের ৯ম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন। অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ সাকিব যেমন আছেন বাংলাদেশ দলে তেমনি আছে নতুন মুখও। স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া ছয় ক্রিকেটার প্রথমবার খেলতে নামবেন টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে। এই ছয়জনের মধ্যে যে কোনো ফরম্যাটে বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাওহিদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব ও তানজিদ হাসান তামিমের। এই তিন ক্রিকেটার ছিলেন সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে। ফলে তাদের জন্য একদমই নতুন অভিজ্ঞতা বলা যায় না। তবে জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন ও তানভীর ইসলামের জন্য বিশ্বকাপে খেলাটা হবে নতুন অভিজ্ঞতা। বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম বলেন, ‘কিছু বলার মতো পাচ্ছি না। চেষ্টা থাকবে একাদশে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার।’ বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা দুই ম্যাচে তার শিকার ছিল এক উইকেট। সব মিলিয়ে মাত্র চার আন্তর্জাতিক ম্যাচের খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে জাকেরের সম্বল ১১ ম্যাচের অভিজ্ঞতা। রিশাদ বিশ্বকাপের বিমান ধরবেন ১৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। জাকের, রিশাদ ও তানভীরের মতো প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তাওহিদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব ও তানজিদ হাসান তামিম। তিনজন প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ডাক পেলেও বিশ্বমঞ্চে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা তাদের আছে। তিনজনই খেলেছেন সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে।

এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯ ম্যাচ খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়। এ ছাড়া তানজিদ তামিম খেলেছেন ৫ ও তানজিম সাকিব খেলেছেন ৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তরুণ ছয় ক্রিকেটারের মধ্যে ১০-এর বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে শুধু জাকের, রিশাদ ও তাওহিদ হৃদয়ের। বাকি তিনজন খেলেছেন ১০-এর কম ম্যাচ। সবচেয়ে কম ৪ টি-টোয়েন্টি করে ম্যাচ খেলেছেন তানভীর ইসলাম ও তানজিম সাকিব। তারা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায়। এছাড়া তারা নিজ নিজ দলের হয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সবশেষ বিপিএলেও। ছয় তরুণের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেও ভরপুর বাংলাদেশের স্কোয়াড। ৫০-এর বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন ৬ ক্রিকেটার। তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১২৮), সাকিব আল হাসান (১১৯), মোস্তাফিজুর রহমান (৯০), লিটন দাস (৮০), সৌম্য সরকার (৮০) ও তাসকিন আহমেদ (৬১)। বাকি তিন ক্রিকেটার শেখ মাহেদি, শরিফুল ইসলাম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অভিজ্ঞতা যথাক্রমে ৪৭, ৩৯ ও ৩৬ ম্যাচ। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ৩৬ ম্যাচ খেলা শান্তর কাঁধে থাকবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব। ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার এই ভারসাম্য বলে দেয় মোটেও অপ্রস্তুত কোনো দলকে নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে নামবে না বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ ও নতুনত্বে ভরপুর লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা বিশ্বকাপে সমর্থকদের কেমন ফল উপহার দেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত