শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। গত সোমবার রাতে ফ্রেঞ্চ ফুটবলারের পুরস্কার হাতে নিয়ে প্যারিস ছাড়ার কথা জানান তিনি। ফরাসি সেনসেশনের নতুন ঠিকানা যে রিয়াল মাদ্রিদ সেটি একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে আছে। গত কয়েক মাসে ইউরোপিয়ান প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে এমবাপে পাড়ি জমাচ্ছেন স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। আগামী মৌসুম থেকে স্প্যানিশ লা লিগায় খেলবেন তিনি। গত মঙ্গলবার রাতে লা লিগা প্রধান হ্যাভিয়ের টিবাসও বললেন, রিয়ালে আসছেন ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকা এমবাপে।
লা লিগা প্রধান হ্যাভিয়ের টিবাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী মৌসুমে তিনি (এমবাপে) খেলবেন (রিয়াল) মাদ্রিদে। তারা (রিয়াল মাদ্রিদ) পাঁচ বছরের চুক্তি করলে সে পাঁচ মৌসুমেই (উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জয়ের সুযোগ পাবে।’ এমবাপে বলে ইউরোপ সেরা না হোক, রিয়ালের অন্তত স্পেনের সেরা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ২০২১ সালে প্রথমবার এমবাপেকে দলে টানার আগ্রহ প্রকাশ করে রিয়াল। এরপর থেকে প্রতি দলবদলের মৌসুমে এ নিয়ে গুঞ্জন ডালপালা মেলে। এমবাপের তো আরও আগেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আসার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে বড় দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল পিএসজি। অবশেষে ভাঙছে সেই দেয়াল। আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে এমবাপের সঙ্গে পিএসজির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ। পরদিন থেকে এজেন্ট ফ্রি হয়ে যাচ্ছেন তিনি। ফলে আগামী মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফির স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমবাপের। সঙ্গে লা লিগায়ও রিয়ালের রাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও লিগ প্রধান টিবাসের ভাষ্য, ‘এমবাপে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। রিয়ালে ভিনিচিয়াস (জুনিয়র) ও (জুডে) বেলিংহামও আছেন। তাদের দলটা দুর্দান্ত হবে। কিন্তু লিগ জয়ের নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না।’ ২০১৭ সালে মোনাকো থেকে ধারে পিএসজিতে খেলতে আসেন এমবাপে। পরের বছর তাকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেয় ফরাসি ক্লাবটি। সেই চুক্তিটা ছিল ১৮ কোটি ইউরোর। কিছুটা হলেও চুক্তির মান রেখেছেন এমবাপে। ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার গৌরব নিয়ে প্যারিস ছাড়তে যাচ্ছেন তিনি। পিএসজির জার্সিতে তার গোল ২৫৬টি। এমবাপের থাকাকালীন পিএসজি জিতেছে পাঁচবার লিগ শিরোপা। এছাড়া ফ্রান্সের অন্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টের ট্রফির স্বাদও কয়েকবার পেয়েছে প্যারিসিয়ানরা।
