ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্ত নেপালি তারকা

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

আর মাত্র ১৫ দিন পর মাঠে গড়াচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের জমজমাট এই আসর। এরইমধ্যে ১৯টি দেশ তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তান তাদের দল প্রকাশ করেননি। আগামী ২ জুন উদ্বোধনী ম্যাচ ডালাসে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামবে কানাডা। তার আগেই সুসংবাদ পেলো নেপাল ক্রিকেট। তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া তারকা স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন দেশটির উচ্চ আদালত। গত বুধবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।

২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ তুলে লামিচানের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক তরুণী। পরদিনই সেই সময়ের নেপাল অধিনায়কের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিলেন লামিচানে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করেন কাঠমান্ডুর জেলা আদালত। পরের মাসে তাকে শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সঙ্গে ৩ লাখ নেপালি রুপি জরিমানাও করা হয় এবং ভুক্তভোগীকে ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। তখনই লামিচানের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করার ঘোষণা দেয়া হয়। সেই আপিলের রায়ে গত বুধবার এই লেগ স্পিনারকে সব ধরনের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন উচ্চ আদালত। লামিচানের বিরুদ্ধে মামলার পর যখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো, ঠিক তার পরপরই জরুরি সভা ডেকে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল লামিচানেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাকে গেপ্তার করা হয়। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। জবানবন্দিতে ওই তরুণী পুলিশকে বলেছিলেন, ‘লামিচানে তাকে দুবার ধর্ষণ করেন। স্ন্যাপচ্যাটে যোগাযোগের সূত্রে তাদের পরিচয় হয়েছিল। লামিচানে তাকে জোর করে নাগারকোটে একটি হোটেলে নিয়ে যান।’ আর লামিচানে পুলিশকে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, ‘ওই কিশোরীর ইচ্ছায় তাকে নাগারকোটে নিয়ে যান তিনি।’ জামিন পাওয়ার পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে লামিচানেকে ঘরের মাঠে স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে রাখে নেপাল। যা নিয়ে নেপালের অনেকের মাঝেই ছিল অসন্তোষ। ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে ক্যাম্পে বিক্ষোভও দেখা যায়।সিরিজের সময় লামিচানেকে দলে ফেরানোর নীরব প্রতিবাদ জানায় সফরকারী দল দুটিও। ম্যাচ শেষে নেপালের সব ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলালেও লামিচানের সঙ্গে হাত মেলাননি স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার ক্রিকেটাররা। পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পর্বেও খেলেন লামিচানে। বাছাইয়ের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেপাল। ওমানের বিপক্ষে ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে যায় তারা। ওই টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নেন লামিচানে। এরপর শাস্তি ঘোষণা হলে তাকে আর দলে রাখেনি নেপাল।