টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘বাংলাদেশ অবশ্যই সুপার এইটে খেলবে’

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

কেমন হচ্ছে দল, কারা সুযোগ পাচ্ছেন সেই দলে। পছন্দের খেলোয়াড়টি থাকবে তো! এমনি সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে। যাদের নিয়ে গুঞ্জন ছিল তারাই আছেন দলে। তবে ছোট্ট একটা চমকই ছিল। আগের রাতেও যিনি অনিশ্চিত ছিলেন, যার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছে, সেই তাসকিন আহমেদও স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন। শুধু জায়গা পাওয়াই নয়, চোটাক্রান্ত এই পেসারকে দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। তাসকিন নিজেও দল ঘোষণার দিনই শুনেছেন এই দায়িত্ব পাবার বিষয়টি। বোর্ড থেকে আগে আলোচনা করা না হলেও সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়াতে গর্বিত তাসকিন। সেই সঙ্গে চোটে পড়ার পর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করায় নির্বাচকদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানিয়েছেন এই টাইগার পেসার। বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় ছিল। যদিও সেই সংশয়ের কালো মেঘ কেটে গেছে। এখন বাংলাদেশ পেস বিভাগের নেতা তিনি। তবে কবে নাগাদ তাসকিন পুরোপুরি ফিট হবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও প্রথম ম্যাচ থেকেই তাকে পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘অনেক ভালো অনুভব করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি দলেও আছি, সহ-অধিনায়কও হয়েছি। দল ঘোষণাটা যখন পিছিয়েছে, আমার মনে পড়েছে ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে মন খারাপ করে মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে চলে গিয়েছিলাম। আরেকটা বিশ্বকাপে আমার জন্য দল দুইদিন পরে দিয়েছে। এটা আসলে একজন খেলোয়াড়ের জন্য গর্বের মুহূর্ত। চেষ্টা করব সম্মানটার মূল্য দেয়ার।’ ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি আর ১৭ জুন জাতীয় দলের জার্সিতে ওয়ানডে অভিষেক হয় তাসকিনের। রঙিন পোশাকে টাইগারদের হয়ে ১০ বছর ধরে খেলছেন ঢাকার এই স্পিডস্টার। লম্বা এই পথচলায় একাধিকবার ইনজুরির কবলে পড়েছেন তাসকিন। ফিরেও এসেছে সব বাধা জয় করে। গেল কয়েক বছরে দেশের পেস ডিপার্টমেন্টের যে দাপট তার অন্যতম কারিগর তাসকিন। ১০ বছর জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার বড় কিছু করার সময় এসেছে বলছেন টাইগারদের নতুন ভাইস ক্যাপ্টেন। তাসকিন বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে উন্নতি করেছি, অভিজ্ঞ হয়েছি। এত বছর খেলে আমি যদি উন্নতি না করি তবে আমি আমার দেশের সঙ্গে ক্রাইম করছি। এত বছর ক্রিকেট বোর্ড আমাকে টেনেছে, খেলিয়েছে, সুযোগ দিয়েছে, এখন আমার সময় এসেছে পরবর্তী কয়েক বছর দেশকে ভালো মতো কিছু দেয়ার।’ ২০ দলের এবারের বিশ্বকাপে ৫টি করে দল নিয়ে হয়েছে চারটি গ্রুপ। ডি গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। প্রতি গ্রুপ থেকে দু’টি দল যাবে পরের রাউন্ডে। তাইতো বাংলাদেশের সুপার এইটে যাবার পথটা খুবই কঠিন। তবে পথ দুর্গম হলেও লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব বলছেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের দল নিশ্চিতভাবেই দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার এইট) যাবে। যদিও প্রথম দুটো ম্যাচই বড় ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি খুবই অনিশ্চয়তার খেলা। যেকেউ যা কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। নেদারল্যান্ডস, নেপালকেও হালকাভাবে নেয়ার কিছু নেই। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে। আমরা অবশ্যই যাব দ্বিতীয় রাউন্ডে।’ পেস আক্রমণে তাসকিনের সঙ্গে আইপিএল খেলে আসা মোস্তাফিজুর রহমান জুটি বাঁধবেন। তাদের উপর বিশ্বকাপে দলের সাফল্য অনেকাংশে যে নির্ভর করবে, সেটি ২৯ বর্ষী তারকা নিজেও জানেন। শুধু নিজের নয়, কাটার মাস্টারের কাছ থেকেও উইকেটের প্রত্যাশা করছেন। হাসিমুখে অবশ্য রসিকতায় মাততেও ভুল করেননি। তাসকিন বলেন, ‘আমি তো চাই মোস্তাফিজ ও আমার দু’জনেরই উইকেট অনেক বেড়ে যাক। কিন্তু কেউ যেন কাউকে ছাড়াতে না পারি। তাহলে দু’জনেরই উইকেট বাড়বে।’