ফুটবলের জগতে অনেক মাইলফলকের জন্ম দেয়া ব্রাজিল এবার আরো একটি নতুন ইতিহাস গড়ল। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল সেলেসাওরা। ২০২৭ ফিফা নারী বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার লড়াইয়ে তারা বিপুল ভোটে হারিয়ে দিল ইউরোপের তিন দেশের শক্তিশালী যৌথ প্রস্তাবনাকে। আয়োজক হতে জোট বেঁধেছিল নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানি। তাদের সঙ্গে লড়াই ছিল ব্রাজিলের। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। গতকাল শুক্রবার ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করেছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ৭৮টি দেশের ভোট পেয়েছে ব্রাজিল। ভোট দিয়েছে ফিফার সদস্য ১১৯টি দেশ। এক বিবৃবিতে ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। আমরা ব্রাজিলে সেরা বিশ্বকাপের আশা করছি। বিএনজিকে (বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি) অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য।’ বিশেষ কিছু কারণে ভোটাভুটিতে ইউরোপিয়ানদের পেছনে ফেলেছে ব্রাজিল।
টেকনিক্যাল দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল সেলেসাওরা। স্টেডিয়াম, বাসস্থান, ফ্যান জোনস এবং পরিবহন ব্যবস্থাপনার কারণে প্রথমবার স্বাগতিক স্বত্ব পেল ব্রাজিল। গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালে সেলেকাওদের সুযোগ বেড়ে যায়। উত্তর আমেরিকার অঞ্চলের দেশ দুটি ২০৩১ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেবে বলে জানানো হয়েছিল। পরে গত নভেম্বরে তাদের দেখানো পথে হাঁটে দক্ষিণ আফ্রিকাও। তাদেরও চোখ পরের বিশ্বকাপে। অবশ্য মেয়েদের প্রথম হলেও এর আগে দুবার ছেলেদের বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ব্রাজিল। সেটি ১৯৫০ ও ২০১৪ সালে। ১৯৯১ সাল থেকে আয়োজন হয়ে আসছে ফিফা নারী বিশ্বকাপ। সর্বশেষ গত বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে মঞ্চস্থ হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। এ ছাড়া সর্বোচ্চ চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে লাতিন কোনো দেশ এখনো পর্যন্ত একবারও শিরোপার স্বাদ পায়নি। এবার বড় সুযোগ তাদের সামনে। ৩২ দলের ওই টুর্নামেন্টের ফরমেটেই আয়োজন করা হবে ব্রাজিল বিশ্বকাপের। এর আগে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে চীন, সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, কানাডা এবং ফ্রান্স।