গত আসরের মতো এবারো ১২ দলের অংশগ্রহণে শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট। তবে আগের তিন আসরের মতো এবার পল্টনের ভলিবল স্টেডিয়ামে হচ্ছে না আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত এই টুর্নামেন্ট। আগামী ২৬ মে থেকে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া দেশ। এর মধ্যে ইউরোপ মহাদেশের পোল্যান্ড, আফ্রিকা মহাদেশের কেনিয়া ও উগান্ডা এবং এশিয়া মহাদেশের জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক, আসিয়ানের ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল, শ্রীলংকা ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের শক্তিশালী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড। সবশেষ দুই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে তারা।
বিদেশি দলগুলো ২৩ মে থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করবে। এরপর ২৫ মে ম্যানেজার্স মিটিংয়ে গ্রুপিং ও ফিকশ্চার চূড়ান্ত করা হবে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনের ডাচণ্ডবাংলা অডিটরিয়ামে এ টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি ও কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। কাবাডির সভাপতি বলেন, ‘নানারকম কর্মসূচির মাধ্যমে কাবাডি উন্নয়নে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডিকে বিশ্ব পরিসরে মেলে ধরছি।’ আইজিপি যোগ করেন, ‘ঢাকায় আলাদা একটি কাবাডি কমপ্লেক্স করার চেষ্টা চলছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি।’ ভারতীয় দুই কোচ থাকা সত্ত্বেও হাংজু এশিয়ান গেমসে পদক পুনরুদ্ধার করতে পারেনি বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গত এশিয়ান গেমসে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পাইনি। কোচ অসুস্থ হয়ে পড়ায়, ঠিকমতো দিকনির্দেশনা দিতে পারেননি। মূলত কোচ ও পরামর্শ ছাড়া আমাদের দল খেলেছে। ফলে আমরা এমন সব দলের কাছে হেরেছি যা ছিল অকল্পনীয়।’
তিনি যোগ করেন, ‘খেলাটা আরো ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে ভারতের মতো সেই বড় মানের বিনিয়োগ নেই। সেখানে সকল বড় তারকার নিজস্ব কাবাডি দল রয়েছে। অন্যদিক আমাদের এখানে তেমন নেই। সেজন্য এখানে প্রো-কাবাডির আয়োজন করাটা কঠিন।’ ১২টি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। এরপর দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ চার দল সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে। জয়ী দুই দল খেলবে ফাইনাল। টুর্নামেন্টের সব কয়টি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টি স্পোর্টস।