সাইফ পাওয়ারটেকের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা। বিভাগ, জেলা, ক্লাব, বিকেএসপি ও আনসারসহ ৬৫ দলের প্রায় সাতশ’ নবীন সাঁতারু এতে অংশগ্রহন করছে। মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে বালক ও বালিকাদের পাঁচটি গ্রুপে ১০৩টি ইভেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপগুলো হলো- অনূর্ধ্ব ১০, ১১-১২, ১৩-১৪, ১৫-১৭ ও ১৮-২০ (যুবক ও যুবতী)। ডাইভিং হবে এক, তিন ও পাঁচ মিটার প্ল্যাটফর্মে। বিজয়ী সাঁতারুদের স্বর্ণ, রুপা ও ব্রোঞ্জপদক দেয়া হবে। দলগত চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দল ট্রফি পাবে। এছাড়া সেরা সাঁতারু বালক ও বালিকাদের ব্যক্তিগত ট্রফি ও আর্থিক পুরস্কার দেয়া হবে। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন নৌবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। এ সময় সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন উপস্থিত থাকবেন। তবে এবারও ইলেক্ট্রনিক স্কোরবোর্ডে সাঁতারের টাইমিং দেখা যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা ব্যাংক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ। তিনি বলেন, ‘আমরা টেকনিক্যাল বিষয় ভালো বুঝি না। কিন্তু বিভিন্ন সময় ট্রায়াল দিয়েও আমরা সঠিক সময় পাই না। বাধ্য হয়ে প্রতিটি গেমস চালাচ্ছি হ্যান্ড টাইমিংয়ে। স্কোরবোর্ডটি আমরা বুঝে নেইনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে। ওই সময় যে প্রশাসক ছিলেন, উনি বুঝে নিয়েছিলেন। কিন্তু সাঁতার ফেডারেশন সেটা নানান কারণে বুঝে নেয়নি। এখন পর্যন্ত ওই স্কোরবোর্ডে একটি গেমও করতে পারিনি।’ ২০১৯ সালে মিরপুর সুইমিং পুলে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো হয়েছিল এই স্কোরবোর্ড। সেবার সেরা সাঁতারুর খোঁজে প্রতিযোগিতার জন্য মিরপুর সুইমিং পুল সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে পুরানো স্কোরবোর্ড সরিয়ে বসানো হয় ডাকট্রোনিকস কোম্পানির স্কোরবোর্ড।