অল্প সময়ের মধ্যেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে হচ্ছে হার্দিক পান্ডিয়াকে। ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার আইপিএলে সফল একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক ছিলেন। গুজরাট টাইটান্সকে পরপর দুই মৌসুম ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি, একবার জিতেছিলেন শিরোপা। কিন্তু মুম্বাইয়ে পাড়ি জমিয়ে অধিনায়ক হয়েছেন ঠিকই কিন্তু পড়েছেন সমর্থকদের রোষানলে।
মুম্বাইকে নিয়ে চলতি মৌসুমটাও ভালো গেল না পান্ডিয়ার, পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেছেন। এদিকে বাজে আইপিএল কাটানোর পর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বাজে অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কদিন ধরেই চাউর হয়েছে স্ত্রী নাতাশা স্ট্যানকোভিচের সঙ্গে তার বিচ্ছেদের খবর। ভালোবেসে সার্বিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী নাতাশাকে ২০২০ সালে বিয়ে করেছিলেন পান্ডিয়া। সামাজিক মাধ্যমে এ দুজনের রসায়ন দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হতেন। তবে সে অবস্থা এখন আর নাই বলেই মনে হচ্ছে। ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকমাস ধরেই আলাদা থাকছেন এ ইদুজন। একসাথে ছবি শেয়ার করতেও আর দেখা যাচ্ছে না তাদেরকে। এমনকি পান্ডিয়ার সঙ্গে সমস্থ ছবি নিজের ইন্সটাগ্রাম থেকে নাতাশা মুছে দিয়েছেন বলেও বলা হয়েছে।
এদিকে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে পান্ডিয়া নিজের সমস্ত সম্পত্তির ৭০ শতাংশ পর্যন্ত খোয়াতে পারেন বলেও বলা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিকমাধ্যমে করা নাতাশার বিভিন্ন পোস্ট দেখেও ধারণা করা হচ্ছে, বিচ্ছেদই হতে যাচ্ছে এ দুজনের। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন নাতাশ, লিখেছেন, ‘কেউ খুব জলদি রাস্তায় নামতে যাচ্ছে।’ এদিকে সামাজিক মাধ্যমে যখন ৭০ শতাংশ সম্পত্তি খোয়ানোর সংবাদ তখনই ভাইরাল হয়েছে পান্ডিয়ার পুরনো এক সাক্ষাৎকার। বেশ কয়েকবছর আগে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে পান্ডিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বাবার অ্যাকাউন্টেও মাকে সংযুক্ত করা আছে, আমার ভাই এবং আমার অ্যাকাউন্টেও মা আছেন। সবই আমার মায়ের নামে। আমার বাড়ি থেকে শুরু করে গাড়ি, সবই আমার মায়ের নামে। কারণ আমার নিজের উপর ভরসা নেই। তাই আমার নামে কিছু নেই, কেননা ভবিষ্যতে আমি কাউকে অর্ধেকের বেশি সম্পত্তি দিয়ে দিতে চাই না।’
