ডুবন্ত ব্রাদার্সে হাল ধরবে কে?

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক সময় তৃতীয় শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কিন্তু তদের সেই শক্তি এখন তলানিতে। সত্তর-আশির দশকের সেই ব্রাদার্স এখন অস্তিত্বের সংকটে। কারণ ৩ বছরের মধ্যে দুইবার প্রিমিয়ার লিগের ফুটবল থেকে অবনমিত হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে খুড়িয়ে চলা ব্রাদার্স ২০২১ সালে ৪৬ বছর পর শীর্ষ স্তরের ফুটবল থেকে অবনমিত হয়। পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলেনি। ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবার প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছিল গোপীবাগের দলটি। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার খেললেও স্থায়ী হতে পারেনি। এক ম্যাচ আগেই ফের অবনমিত হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ণশিপ লিগে। ১৭ ম্যাচে জয় মাত্র একটি, ড্র চার আর পরাজয় ১২। ১৭ ম্যাচে ব্রাদার্স গোল হজম করেছে ৬৪। ম্যাচ প্রতি গড়ে প্রায় চারটি করে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চেয়ারে ব্রাদার্স ইউনিয়নের তিনজন কর্মকর্তা রয়েছেন। অথচ তাদের ক্লাবের অবস্থা এতটাই নাজুক। এ নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই সমর্থকদের মধ্যে। তাই এবার ব্যর্থতার দায়ভার সম্পূর্ণ নিজের কাধে নিয়ে ক্লাবটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মহিউদ্দিন আহমেদ মহী পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার কথায়, ‘প্রিমিয়ার ফুটবল থেকে অবনমনের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে পদত্যাগ করব শিগগিরই। পদত্যাগপত্র প্রস্তুত রয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে সভাপতি (নজরুল ইসলাম) ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানকে (আ জ ম নাছির) পাঠিয়ে দিব।’ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আ জ ম নাছির ক্রিকেট দল দেখভাল করেন। ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফুটবল দল মূলত দেখাশোনা করেন ক্লাবের পরিচালক ও ম্যানেজার আমের খান। মহীর মতো তিনিও সরে যেতে চান, ‘দুই-একজনের অমানুষিক পরিশ্রম দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে দল চালানো যায় না। ভলান্টিয়ারি হিসেবে অনেক দিন করেছি। আর পারছি না। আমারও আর দায়িত্বে থাকার তেমন ইচ্ছে নেই। অন্য কেউ হাল ধরুক।’