ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফের উইকেট নিয়ে আক্ষেপ শান্তর

ফের উইকেট নিয়ে আক্ষেপ শান্তর

সূচনালগ্ন থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে অংশ নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গত আসরে খেলে বাংলাদেশের বড় কোনো অর্জন নেই বললেই চলে। এখনো নকআউট পর্বে খেলার স্বাদ পায়নি টাইগাররা। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকার পরও কেনো এই ফরম্যাটে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। আগামী ১ জুন শুরু হবে নবম আসর। এই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের প্রত্যাশা বলতে কিছু নেই। টপ অর্ডার দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে রান খরায়। লিটন দাস-নাজমুল শান্তরা অফ ফর্মে লম্বা সময় ধরে। এছাড়াও দুশ্চিন্তা আছে ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট নিয়েও। আবার আসর শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে লাল-সবুজের দল। বলা যায় দলের আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে। টি-টোয়েন্টিতে এতদিনেও টিম পারফরম্যান্সে কোনো উন্নতি করতে না পারা। তবে কেন উন্নতি হচ্ছে না? যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের আগে তার একটি উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে না পারার জন্য উইকেটকে দায়ী করেছেন তিনি। অর্থাৎ ভালো উইকেটে বেশি ক্রিকেট খেলে না বাংলাদেশ। যার ফলে উন্নতিও আসে না। যার পেছনে দায়ী বাংলাদেশের লো-স্কোরিং উইকেট।

শান্ত বলেন, ‘প্রথমত আমাদের ভালো উইকেটে খেলতে হবে। অনেকেই এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখতে পারেন। তবে এটাই বাস্তবতা। আমরা খুব কম ম্যাচই ভালো উইকেটে খেলি।’

বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট বর্তমান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে অনেকটাই দৃষ্টিকটু। অধিনায়ক শান্তর স্ট্রাইকরেট নিয়েই বড় প্রশ্ন। মাত্র ১০৯.৬৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেন তিনি। স্ট্রাইকরেট ভালো করতে হলে এবং স্ট্রাইকরেট বাড়াতে হলে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। অল্প কয়েকদিন ভালো পিচে খেললেও সংকট কাটবে না। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো পিচে খেলার কথা বলেছন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শান্ত বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে সবকিছু বদলে ফেলা কঠিন। আমরা যদি ভালো উইকেটে এক-দুই বছর খেলতে থাকি, তাহলে স্ট্রাইক রেটের উন্নতি হবে।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে ডি-গ্রুপে। অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় বাংলাদেশ অনেকটা কঠিন গ্রুপেই পড়েছে। এই গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ লঙ্কানদের বিপক্ষে ৮ জুন ডালাসে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত