ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে চান সৌম্য

বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে চান সৌম্য

প্রায় এক দশক আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সৌম্য সরকারের। ১০ বছরের ক্যারিয়ারে মনে রাখার মতো অনেক কিছুই করেছেন এই ওপেনিং ব্যাটার। যেমন পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অপরাজিত ১২৭, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে অপরাজিত ৮৮ ও ৯০ রান। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১৪৯ রানের ইনিংসের বিশাল ছক্কাগুলো এখনো চোখে ভাসে। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখেছেন সৌম্য। অফ ফর্মের কারণে দীর্ঘ সময় দলের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ঠিকই জায়গা পেয়েছেন এই ব্যাটার। তার দলে আসার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল কোচ হাথুরুসিংহের। দলে সুযোগ পেয়েই বড় স্বপ্নের কথা শোনাচ্ছেন সৌম্য সরকার। শুধু সুপার এইট, সেমিফাইনালই নয়, তিনি স্বপ্ন দেখেন রীতিমতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রচার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল সোমবার ছিল সৌম্য সরকারের পর্ব। সেখানে তিনি জানালেন নিজের স্বপ্ন আর লক্ষ্যের কথা।

বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও দলের পারফরম্যান্স ছিল না মন ভরানোর মতো। যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে গিয়ে তো স্বাগতিক দলের কাছে সিরিজই হেরে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ভারতে বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচেও দলের অবস্থা ছিল শোচনীয়। এই অবস্থায় ‘ডি’ গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলদের একটিকে টপকে সুপার এইটে যাওয়া বড় সংশয়ের। বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য অবশ্য সংশয়ের চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছেন না। তার আকাঙ্ক্ষা চূড়ায়, ‘আমি সব সময় স্বপ্ন বড় দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এটা আমার ব্যক্তিগত চিন্তা, আমি সব সময় স্বপ্ন বড় দেখতে পছন্দ করি। কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল, আমি বলব ফাইনাল খেলতে যাব। এরপর মাঠে ভালো খেলব বা খারাপ খেলব তার উপর নির্ভর করে; কিন্তু স্বপ্ন বড় দেখাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করব সেরাটা দেওয়ার। আগের দুই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করিনি, ২০২৪ স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’ সৌম্যের মতে তাদের দলে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের একটা দারুণ সমন্বয় আছে। সেটা কাজে দিবে বিশ্বকাপ মঞ্চে, ‘অভিজ্ঞ সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইরা আছে। আমরা যারা অনেকদিন ধরে খেলছি তারাও আছি। সব মিলিয়ে সবার অভিজ্ঞতা এক জায়গায় করতে পারি। একত্রিত হয়ে খেলতে পারি তাহলে ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার পর ২০১৫ অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেন সৌম্য। ২০১৬ সালে খেলেন প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি। খেলেছেন ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সৌম্যের এটি ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ। তবু সমান রোমাঞ্চ কাজ করছে তার ভেতর, ‘খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ খেলা তো স্বপ্নের মতো। ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সময় যেমন এবারও তেমন রোমাঞ্চ কাজ করবে। চেষ্টা করব ২০২৪ সালটা যেন আমার জন্য স্মরণীয় হয়, কিছু করতে পারি। আমার পাশাপাশি দলকেও এমন ভালো জায়গায় নিতে পারি।’ সৌম্য অধিনায়ক শান্তকে নিয়েও বেশ আশাবাদী। তিনি মনে করেন দলকে একত্রিত করে ভালো কিছু এনে দিতে পারবেন শান্ত, ‘আমি তাকে যতটা মাঠে দেখছি সে দলকে একত্রিত রাখছে। আমি আশা করব দল হিসেবে বিশ্বকাপে সবাইকে একত্রিত করে রাখতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা। আশা করছি অধিনায়কের মধ্য থেকে নতুন কিছু বাংলাদেশকে উপহার দেবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত