ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘২০০ রানের লক্ষ্য হলেও সমস্যা নেই’

‘২০০ রানের লক্ষ্য হলেও সমস্যা নেই’

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক সমীহ আদায় করে নিয়েছে আফগানিস্তান। দলটিতে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় রয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম রাশিদ খান, মোহাম্মদ নাবি ও মুজিব উর রাহমান। এই স্পিনারদের হাত ধরে অনেক সাফল্য পেয়েছে আফগানরা। তবে বেশ কিছুদিন ধরে ফর্মে নেই তারা। অধিনায়ক রাশিদের মতে, বোলারদের খারাপ দিনে ব্যাটসম্যানরাও এখন ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় প্রথমবার কোনো বিশ্বকাপ খেলতে আসা উগান্ডার মুখোমুখি হবে তারা। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে আফগানিস্তানের স্পিন নির্ভরতার প্রসঙ্গ। সে সময় রাশিদ ব্যাটিংয়ে উন্নতির কথা সামনে আনেন। ‘আগে আমাদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা ভুগতে হতো। তখন বোলাররা অনেক বেশি অবদান রাখত এবং ম্যাচ জিততে সাহায্য করত। পরে আমরা তরুণ ব্যাটসম্যানদের পেলাম বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট থেকে। তারা যেভাবে জাতীয় দলে এসেছে, কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং তরুণ বয়সে আফগানিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে। তারা বিশ্বজুড়ে নানান লিগ খেলছে। যেখানে নিজেদের আরো উন্নতি করতে পারছে।’

গত কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের বড় নির্ভরতার নাম ইব্রাহিম জাদরান। তিন সংস্করণেই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। আর দ্রুত রান তোলার কাজটি সফলভাবেই করছেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পেস অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমারজাই সামাল দিচ্ছেন মিডল-অর্ডার। শেষ দিকে ঝড় তোলার জন্য অভিজ্ঞ নাবির সঙ্গে আছেন কারিম জানাত। ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ ইসহাকও সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন। আর ক্যামিও ইনিংসে প্রায়ই অবদান রাখেন রাশিদ নিজেও। এই ব্যাটিং লাইন-আপের ওপর আস্থা রেখে রাশিদ বললেন, যে কোনো দিন অনেক বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করার সামর্থ্যও আছে তাদের। ‘আমার মতে, আমাদের যে ব্যাটিং লাইন-আপ আছে, ২০০ রানের লক্ষ্য হলেও সমস্যা নেই। মাঠে ওই রান তাড়া করার সামর্থ্য ও স্কিল আছে আমাদের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট পুরোটাই মানসিকতার ব্যাপার। আপনি সঠিক মানসিকতায় থাকলে এবং বিশ্বাস রাখলে, যে কোনো কিছুই সম্ভব।’ বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপে উগান্ডা ছাড়াও আফগানিস্তানের অন্য তিন প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউ জিল্যান্ড ও পাপুয়া নিউ গিনি। গ্রুপের সেরা দুই দল পাবে সুপার এইটের টিকেট। অনেক বিশেষজ্ঞের বাজি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা নিউ জিল্যান্ডকে টপকে আফগানরাই নাম লেখাবে সেরা আটে। তবে আপাতত সেটি নিয়ে ভাবছেন না রাশিদ। ‘কিছু মানুষ বলেছেন, সেমি-ফাইনাল খেলার জন্য (বিশ্বকাপে) যাবে আফগানিস্তান। এটিকে আমরা খুবই ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখি। আগে আমাদের জন্য বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াই কঠিন ছিল। আর এখন সেরা চারের জন্য আমাদের নাম বলা হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার।’ গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রায় সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল আফগানরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তার চেয়েও ভালো করতে চান রশিদ খান। ‘তবে এসব নিয়ে আমরা খুব বেশি ভাবি না। মাঠে গিয়ে আমরা কেমন করি সেটিই মূল বিষয়। গত (ওয়ানডে) বিশ্বকাপেও আমরা সেমি-ফাইনালের খুব কাছে ছিলাম। আর একটা ম্যাচ জিতলেই হতো। সেখান থেকেই বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করে, দল হিসেবে আমাদের জন্য কিছুই অসম্ভব নয়। তাই এই বিশ্বকাপের জন্য আমরা রোমাঞ্চিত। তবে আমরা আপাতত একটি একটি করে ম্যাচ ধরে এগোব এবং দেখব কী হয়।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত