বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে ঢাকায় এসেছে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল। গতকাল মঙ্গলবার তপ্ত দুপুরে হযরত শাহ শাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় সকারুরা। তার আগে গত রোববার অনুশীলন ভেন্যু ও আনুষাঙ্গিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন দেশটির তিনজন কর্মকর্তা। অস্ট্রেলিয়া থেকে অবশ্য সরাসরি আসেনি তারা। থাইল্যান্ডে যাত্রাবিরতি দিয়ে ঢাকায় পা রেখেছে অজি ফুটবলাররা। দুপুরে ঢাকায় পা রাখলেও এদিন কোনো অনুশীলন করেনি কাতার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলা দলটি। আজ ম্যাচ ভেন্যু বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন করবে দলটি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে আই-গ্রুপের বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি। আই-গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল হয়েই নিজেদের দাপট দেখাচ্ছে। ৬ জুন কিংস অ্যারেনাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আরও একটি একপেশে ম্যাচ হবে কি না, সেটাও দেখার আছে। ফিফা র্যাংকিংয়ে সাবেক এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা রয়েছে ২৪তম স্থানে। বাংলাদেশ ১৮৪। ব্যবধান অনেক। ১৬০ ধাপ পিছিয়ে দলটির বিপক্ষে আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। কোনো বারই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ওশেনিয়া মহাদেশের হলেও ফুটবলে তারা এশিয়া মহাদেশের হয়েই খেলে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুইবার অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপে পড়ল। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়েও অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফুটবল খেলতে এসেছিল। ওই সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে এসে খেলতে গড়িমসি করেছিল। পরে তবে ফিফার দৃঢ় অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগের দিন রাতে ঢাকায় পৌঁছায় এবং রাতেই ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচের পরপরই অস্ট্রেলিয়া ঢাকা ত্যাগ করে। ওই বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৫-০ ও ৪-০ গোলে হারতে হয়েছিল। আর এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত বছরের ১৬ নভেম্বর মেলবোর্নে অসহায়ভাবে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লাল-সবুজ দল। অস্ট্রেলিয়া আই-গ্রুপে চার ম্যাচে সবকটি জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। সমান ম্যাচে বাংলাদেশের মাত্র এক পয়েন্ট। সেটাও লেবাননের বিপক্ষে ড্রয়ে। ৬ জুনের ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অনুশীলন চলছে। কালও ক্লোজ ডোর অনুশীলন হয়। তবে সকারুসদের সঙ্গে যতই বড় ব্যবধান থাকুক না কেন, অনুশীলন শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন, ‘হোম ম্যাচে সব সময়ই সুবিধা পাওয়া যায়। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি হবে নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন আবহাওয়া। এখানে আমাদের নিজেদের মাঠে খেলা, চেনা সমর্থক। এটা বাড়তি সুবিধা।’ সকারুসরা ৬ জুন ম্যাচ খেলেই রাতেই ঢাকা ছাড়বে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দেখা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এর আগেও দুইবার অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপে পড়েছে। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়েও অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ।
