ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এবার অস্ট্রেলিয়ার ঘাম ঝরিয়ে হারল বাংলাদেশ

এবার অস্ট্রেলিয়ার ঘাম ঝরিয়ে হারল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে শক্তিধর অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। যাদের বিপক্ষে আগের তিন লড়াইয়ে প্রতিবারই ছয় মিনিটের মধ্যেই গোল হজম করেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সবশেষ দুই দলের লড়াইয়ে তো জামাল ভূঁইয়াদের সাত গোলের মালা পরিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ঘরের মাঠে সেই দলটির বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে হেরেছে হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে কুসিনি ইয়াঙ্গির গোলে হার নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের।

এই জয়ে ‘আই’ গ্রুপে ৫ ম্যাচের প্রতিটি জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমান ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১। ঘরের মাঠে লেবাননের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্টটি পেয়েছিল জামাল ভুঁইয়ারা। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে সব ম্যাচ শেষ হলো বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচে লেবাননের মাঠে খেলবে দলটি। দুই দলের শক্তির পার্থক্য অনেক। ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ১৬০ ধাপ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপেও খেলেছে সকারুরা শেষ ষোলোতে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়াই করেছেন প্রায় সমান তালে। সেই দলটির বিপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে হার কিছুটা সন্তোষজনকই বাংলাদেশের জন্য। আগের রাতের পর এদিন সকালেও টানা বর্ষণ হওয়ায় আউটফিল্ড ছিল ভেজা। যে কারণে ঠিকঠাকভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সকারুরা। এছাড়া দিনের আলোও খেলা হওয়ায় তাপমাত্রাও ছিল কিছুটা বেশি। যেখানে কিছুটা হলেও ভুগেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। তার সঙ্গে তিন সেন্টার ডিফেন্ডার নিয়ে গড়া রক্ষণে দারুণ লড়াই করে বাংলাদেশ। স্বাভাবিক খেলা প্রদর্শন করতে না পারলেও ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই চাপ প্রয়োগ করে খেলে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক জ্যাকসন আরভাইন। ১২তম মিনিটেও ফাঁকায় সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১৭তম মিনিটে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মিচেল ডিউক। তবে ভাগ্য সঙ্গ দেয় বাংলাদেশকে। ৩০তম মিনিটে উল্টো দুর্ভাগ্য নেমে আসে বাংলাদেশ শিবিরে। প্রায় ৩০ গজ দূরে থেকে নেওয়া আইডিন রাস্টিকের শট ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান মিঠুর পায়ে লেগে দিক বদলে চলে যায় জালে। অন্যথায় সমতায় থেকেই হয়তো বিরতিতে যেতে পারতো লাল-সবুজ জার্সি ধারীরা।

প্রতিপক্ষের নিয়মিত আক্রমণ সামলে মাঝেমধ্যেই আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন মোরসালিন-রাকিবরা। বেশ কয়েকবার ফাঁকায় বলও পেয়ে গিয়েছিলেন তারা। তবে অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে শেষ হয়েছে তাদের চেষ্টা। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের গতির সঙ্গে পেরেই ওঠেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রায় একই ধারায় খেলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররাও ভালো লড়াই করে যাচ্ছিলেন। ৫২তম মিনিটে সোহেল রানার বদলি নামেন জামাল। এর ঠিক ১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। জর্ডান বসের ক্রসে তপু ক্লিয়ারের তেমন চেষ্টাই করেননি, তার পেছনে থাকা মেহেদীকে টপকে হেডে কুসিনি ইয়েঙ্গি পরাস্ত করেন মিতুলকে। হেডের আগেই কুসিনির চার্জে মেহেদী ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলে ফাউলের আবেদন করে বাংলাদেশ, তবে সাড়া দেননি রেফারি। বাকি সময়েও বলের নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য করে বাছাইয়ে টানা চার জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়া। তবে বাংলাদেশকে নতুন করে আর বিপদে ফেলতে পারেনি তারা। বাছাইয়ে নিজেদের মাঠে এ দফায় শেষ ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। আর মাত্র একটি ম্যাচ আছে; আগামী ১১ জুন কাবরেরার দল মুখোমুখি হবে লেবাননের। বাছাইয়ে এ পর্যন্ত পাওয়া ১ পয়েন্ট বাংলাদেশ পেয়েছিল লেবাননের বিপক্ষে কিংস অ্যারেনাতে ১-১ ড্র করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত