ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফরাসি ওপেন

রেকর্ড গড়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন শিয়াওতেক

রেকর্ড গড়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন শিয়াওতেক

ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডস্ল্যাম ফাইনালে উঠেছিলেন ইয়াজমিনে পাওলিনি। তার প্রতিপক্ষ ছিলেন বিশ্ব টেনিসের নারী এককের শীর্ষ তারকা ইগা শিয়াওতেক। এই পোলিশ তারকাকে কোনোরকম চ্যালেঞ্জই জানাতে পারলেন পাওলিনি। এই ইতালিয়ানকে গুঁড়িয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফরাসি ওপেনের শিরোপা জিতলেন শিয়াওতেক। গত শনিবার রোলাঁ গারোয় ফাইনালে পাওলিনিকে সরাসরি সেটে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন শিয়াওতেক। মাত্র ৬৭ মিনিটের এই লড়াইয়ে ৬-২ ও ৬-১ গেমে ম্যাচ জিতে নেন এই ইতালিয়ান। এই নিয়ে ক্যারিয়ারে পঞ্চম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতলেন এই পোলিশকন্যা। উন্মুক্ত যুগে এত কম ম্যাচে এর আগে পাঁচটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিততে পারেননি আর কোনো নারী খেলোয়াড়।

নারীদের টেনিসে জাস্টিন হেনিন ২০০৫, ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়েছিলেন। এর আগে গড়েছিলেন মনিকা সেলেস (১৯৯০-৯২)। সেই নজিরই স্পর্শ করলেন শিয়াওতেক। তিনি ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে টানা জিতলেন। এর আগে ২০২০ সালেও এই ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। এবার প্রথম বারের গ্ল্যান্ডস্ল্যামের ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন পাওলিনি। প্রথম সেটের তৃতীয় গেমে শিয়াওতেকের সার্ভিস ব্রেক করে আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। তার লড়াই এইটুকুই। এরপর আর কুলিয়ে উঠতে পারেননি। দাপট দেখিয়ে সেই সেট শিয়াওতেক জিতে নেন ৬-১ ব্যবধানে। আর দ্বিতীয় সেটে সেই লড়াইও করতে পারেননি পাওলিনি। এবারের আসরে দাপট দেখিয়েই ফাইনালে পা রেখেছিলেন শিয়াওটেক। যার প্রমাণ, পুরো আসরে মাত্র একটি সেট হেরেছিলেন নারীদের ‘নাম্বার ওয়ান’ তারকা। সেটা দ্বিতীয় রাউন্ডে নাওমি ওসাকার বিপক্ষে। এরপর বাকি পথচলায় আর কোনো প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি এই পোলিশ তারকা। ধীরে ধীরে ক্লে কোর্টের এই টুর্নামেন্টের গ্রেট হয়ে ওঠার পথে এগিয়ে চলেছেন ২৩ বছর বয়সী শিয়াওতেক। ২০২০ সালে এখানেই প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের স্বাদ পান তিনি। পরের বছর পারেননি। তবে তারপর থেকে জিতলেন এর হ্যাটট্রিক ট্রফি। এবার শিরোপা জয়ের মধ্যে দিয়ে রেকর্ড বইয়েও জায়গা করে নিলেন শিয়াওটেক। ১৯৬৮ সালে টেনিসের উন্মুক্ত যুগ চালুর পর থেকে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিনবার এই ট্রফি জিতলেন তিনি; অন্য দুজন হলেন জাস্টিন হেনিন (২০০৫-০৭) ও মনিকা সেলেস (১৯৯০-৯২)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত