ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘রিশাদকে দলে নিতে যুদ্ধ করতে হয়েছিল’

‘রিশাদকে দলে নিতে যুদ্ধ করতে হয়েছিল’

দীর্ঘ দিন ধরে একজন লেগ স্পিনারের সন্ধানে ছিল বাংলাদেশ। অবশেষে আক্ষেপ ঘুচিয়ে আবিভূত হলেন রিশাদ হোসেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই নায়ক বনে গেছেন তিনি। জিতে নিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন এই টাইগার লেগি। রিশাদের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার গল্পটা একটু অন্যরকম। সবাই যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে জাতীয় দলে সুযোগ পান সেখানে রিশাদ আগে পারফর্ম করেছেন জাতীয় দলে, পরে সুযোগ পেয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। লেগ স্পিনার হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ মিলত খুবই কম।

তবে তার দক্ষতায় আস্থা রেখে হাই পারফরম্যান্স এবং পরে জাতীয় দলে তাকে সুযোগ দেয় নির্বাচক প্যানেল। বর্তমান নয়, সাবেক নির্বাচক প্যানেল। যেখানে ছিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমনরা। রিশাদের এমন পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল কৃতিত্ব দিয়েছিলেন নান্নুদের নির্বাচক প্যানেলকে। এবার রিশাদকে সুযোগ দেয়ার পেছনের গল্পটা খোলাসা করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নু। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নান্নু বলেন, ‘এই রিশাদকে নিয়ে আমাদের নির্বাচক প্যানেলকে কত যুদ্ধ করতে হয়েছে এই ছেলেটাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। একটা ফার্স্ট ক্লাস টিমের মধ্যে রেগুলার হাই পারফরম্যান্সে রাখা। এসবের জন্য অনেক ধরনের কথা মানুষের কাছ থেকে শুনতে হয়েছিল। এমনকি আমাদের অনেক কোচরাও কিন্তু সাহস করেনি ওকে খেলানোর জন্য। ওকে আসলে অনেক বাঁধা ডিঙিয়ে কিন্তু আমরা একটা পর্যায়ে এনেছি। সে হিসেবে এই ছেলেটা কিন্তু প্রায় ট্রাম্পকার্ড। যে বোলিংটা করেছে, হাথুরুসিংহেও কিন্তু আমাদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল এ ধরনের একটা বোলারকে প্রতিষ্ঠিত করতে। সব মিলিয়ে আমাদের নির্বাচক প্যানেল এবং টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই মিলে একসাথে কাজ করেই কিন্তু আমরা এই ছেলেটাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। এখন ওর দেশকে দেওয়ার পালা। এখন এই প্রক্রিয়াটা মেনে চলতে পারলে সামনে দেশকে আরো অনেক কিছু দিতে পারবে। সামনের ম্যাচটাও দেখেন সে আসবে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে।’ 

এছাড়া রিশাদকে নিয়ে মাতামাতি যেন মাত্রা ছাড়িয়ে না যায় সে ব্যাপারেও সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন নান্নু, ‘আমরা তো যে কোনো সময় যে কোনো একজন প্লেয়ারের পারফরম্যান্স দেখে হাততালি দেওয়া শুরু করে দেই। কিন্তু একটা জায়গায় লিমিট থাকা উচিত। আমরা চাই একটা প্লেয়ার যেন দেশকে ১০ বছর মিনিমাম সার্ভিস দিতে পারে ওই ধরনের চিন্তা করে আগানো। লং টাইম সার্ভিস দিতে পারে, যে দেশের জন্য ভালো ক্রিকেটটা খেলে ওই ধরনের চিন্তা করে ছেলেটাকে খেলতে দিন। এমন কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করবেন না যেন আবারো পারফরম্যান্স নিয়ে টানাটানি হয়। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্স ধরে রাখা কিন্তু অনেক কষ্টের। একজন প্লেয়ার জানে কীভাবে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হয়। আমার বিশ্বাস যে, একটা লেগ স্পিনার আমাদের দরকার ছিল। ওর ব্যাটিংটাও যথেষ্ট ভালো আছে। দলের প্রয়োজনে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার ক্ষমতা আছে, আমি বিশ্বাস করি ওকে নিয়ে যদি টিম ম্যানেজমেন্ট চলতে পারে তাহলে আমাদের অনেক কিছু দিতে পারবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত