মেসি ফেরার দিনে নায়ক মারিয়া

বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চোটের শঙ্কা। তবে চোটের সঙ্গে লিওনেল মেসির লড়াইটা পুরোনো। সুস্থ হয়ে উঠলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বাদে তাকে পুরো ম্যাচে খেলাচ্ছে না ক্লাব কিংবা জাতীয় দল। ছয় মাস পর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে আবারো মাঠে নামলেন তিনি। এদিন ফিরলেও তাকে বেঞ্চে রেখে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। তবে দলের সেরা তারকার অভাবটা সে অর্থে টের পেতে দেননি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। খেলেছেন আস্থার সঙ্গেই। তার দেওয়া অসাধারণ এক গোলেই জয় তুলে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। শিকাগোর সোলজার ফিল্ডে বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার ভোরে প্রীতি ম্যাচে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ডি মারিয়া। কোপা আমেরিকায় খেলতে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এদিন মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। জয় তুলে নিলেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে দলটিকে। তবে দলটির জন্য স্বস্তির খবর ফিরেছেন মেসি। চোটের কারণে এল সালভাদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ দুটি প্রীতি ম্যাচে খেলতে পারেননি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে মাঠে নামেন এই মহাতারকা।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সাম্প্রতিক ফলাফল আশা জাগানিয়া ছিল না ইকুয়েডরের। সেই ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ২-০ গোলের জয়ে পর শেষ সাত ম্যাচে জয় নেই। এর মাঝে ১-৬ গোলের বিশাল পরাজয়ও রয়েছে। এদিন ন্যূনতম ব্যবধানে হারের দিনে রক্ষণ জমাট রেখে লো ব্লক তৈরি করে ভালো লড়াই করেছে দলটি। তবে বল দখলে বেশ পিছিয়ে ছিল ইকুয়েডর। মাঝমাঠের দখল ছিল আর্জেন্টাইনদের। ৬৫ শতাংশ দল দখলে ছিল তাদের। শটও নেয় ১১টি, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৫টি শট নিতে পারলেও তার একটি লক্ষ্যে রাখতে পারেনি ইকুয়েডর। ম্যাচের ২৬তম গোল করার মতো প্রথম সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রি কিক থেকে সৃষ্ট জটলায় দারুণ এক ভলি নিয়েছিলেন লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা রক্ষা করেন হার্নান গালিন্দেজ। ৪০তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে রদ্রিগো দি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর বাড়ানো বলে ডি-বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে কোণাকোণি এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন দি মারিয়া। ৪৩তম মিনিটে ডি মারিয়া নেয়া ফ্রিকিক দারুণ দক্ষতায় ইকুয়েডোর গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ৬তম মিনিটে মেসি মাঠে নামেন। চার মিনিট পরই বাঁ প্রান্তে দি পলকে একেবারের ফাঁকায় একটি পাস দেন অধিনায়ক। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে নিতেই দেরি করে ফেলায় সুযোগ নষ্ট হয় দলটির। পরের ১০ মিনিটে কিছুটা আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ইকুয়েডর। বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করে দলটি। কিন্তু রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় কোনো বিপদ হয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এরপর আর্জেন্টিনাও বেশ কিছু আক্রমণ করে। আলোর মুখ দেখেনি তাদের চেষ্টাও।