ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ এখন যা পাবে তাই বোনাস : হাথুরুসিংহে

বাংলাদেশ এখন যা পাবে তাই বোনাস : হাথুরুসিংহে

২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো আসরেই খেলেছে বাংলাদেশ। কোনো আসরেই দুটির বেশি জয় পায়নি। এবার তিন জয়ে সুপার এইট খেলছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই পর্বে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তত দুটি ম্যাচ জিততে পারলে সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব হবে। যদিও এত কিছু ভাবছে না বাংলাদেশ দল। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছেন বাংলাদেশ, এখন যা পাবে তাই বোনাস। প্রতিবার প্রত্যাশার বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে আসে। কিন্তু প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে থাকে বিস্তর ফারাক। এবার অবশ্য প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন ছিল। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগেই দলের পারফরম্যান্স হয়ে পড়ে নিষ্প্রভ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেই ভক্তদের প্রত্যাশা করতে বারণ করেছিলেন। এই দল নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশাও তেমন ছিল না। শান্ত কেন প্রত্যাশা করতে মানা করেছিলেন, সেটিও বোঝা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর। তবে বিশ্বকাপ শুরু হতেই বদলে গেছে সবকিছু। ব্যাটিং বিভাগে ব্যর্থ হলেও বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দারুণ ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশ সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে, যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মন্তব্য করে বসলেন, ‘সুপার এইটে ওঠা ছিল এই টুর্নামেন্টে আমাদের প্রথম লক্ষ্য। আমরা সেটা অর্জন করতে পেরেছি, বোলাররা আমাদের টিকিয়ে রেখেছে। আমরা কন্ডিশন বুঝে খেলেছি, কন্ডিশনকে নিজেদের পক্ষে ব্যবহারও করতে পেরেছি। এখানে আসতে (সুপার এইট) পেরে আমরা খুবই খুশি, আর এখান থেকে যেকোনো প্রাপ্তিই হবে বোনাস। তাই আমরা বেশ স্বাধীনতা নিয়েই খেলব। তিনটি দলকেই আমরা যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেব।’ আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় অ্যান্টিগায় স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘পরিকল্পনা অন্য সব দলের মতোই, ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে আমরা শক্তিশালী শুরু করতে চাই। তবে অনেক জায়গাতেই ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে পিচ। আর পিচের চরিত্র বোঝাও খুব কঠিন।’ হাথুরুসিংহে আরও বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম সেন্ট ভিনসেন্টের পিচ ভালো হবে। কিন্তু সেটাই খুব কঠিন হয়ে উঠল। বোলিংবান্ধব হয়ে উঠল, সেটি শুধু পেস কিংবা স্পিন নয়, দুটিতেই। তাই আমাদের পরিকল্পনা হলো ব্যাটিং বা বোলিং যেটাই হোক, শুরুটা ভালো করা।’ অ্যান্টিগার উইকেটে অতোটা ব্যাটিং বান্ধব না হলেও এখানে পেসারদের ভূমিকা থাকে অনেকখানি। স্বাভাবিক ভাবেই পেস নির্ভর একাদশ নিয়েই মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। তার মধ্যে বাংলাদেশের পেসাররা আছে দারুণ ছন্দে। যদিও একাদশ কেমন হবে, সেই ব্যাপারে কূটনৈতিক উত্তর দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের কোচ, ‘কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করছে। তাদের (অস্ট্রেলিয়া) সীমাবদ্ধতাও আমরা আমলে নেব এবং অবশ্যই আমরা নিজেদের শক্তি বুঝে খেলবো। (ম্যাচের আগে) এগুলোই ভাবা হবে।’ গত পরশু সকালে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ছিল সেন্ট জোনসের রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে। সেই অনুশীলন বাতিল হয় বৃষ্টির বাধায়। বিকালে মূল ভেন্যু স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ফিল্ডিং অনুশীলন করতে গেলেও তখন উইকেট ছিল কাভারে ঢাকা। গতকাল ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ অনুশীলন করেছে কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে, মূল ভেন্যুতে তখন চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকাণ্ডযুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ। ঠিক এই কারণে উইকেটই দেখতে পারেনি বাংলাদেশ, ‘এখনো দেখিনি। আমরা গতকাল সেখানে ফিল্ডিং সেশন করেছি। কিন্তু সেটা ছিল রাতে ফ্লাডলাইটের আলোয়। উইকেট তখন ঢেকে রাখা ছিল। আমরা মাঠের আকার দেখার পাশাপাশি কোন দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, সেসব বোঝার চেষ্টা করেছি। পুরো চিত্র এখনো না পেলেও ব্যাপারটা কত গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়ে কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত