ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রথম বিশ্বকাপেই উজ্জ্বল রিশাদ

প্রথম বিশ্বকাপেই উজ্জ্বল রিশাদ

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা আর চোট সমস্যা নিয়েও এবারের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা পেয়েছিলেন টাইগাররা। তিন জয়ে জায়গা করে নিয়েছিল সুপার এইটেও। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালে উঠার সুযোগ এসেছিল। তবে আরো একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। বাংলাদেশকে হতাশা উপহার দিয়ে প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছে আফগান্তিান। হতাশার মধ্যেও এবারের বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রাপ্তি রিশাদ হোসেন। এবারের আসরে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়েছেন তরুণ এই লেগ স্পিনার। ২১ বছর রিশাদ এতটাই দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন যে, ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশের সবাইকে! প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই ১৪ উইকেট শিকার করলেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট এটিই। রিশাদ পেছনে ফেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাকিব আল হাসানকে। ক্যারিয়ারের নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা সাকিব ২০২১ সালে ১১ উইকেট পেয়েছিলেন। সেটাই ছিল তার এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। রেকর্ডটি অবশ্য আগের ম্যাচেই স্পর্শ করেন রিশাদ। ভারতের বিপক্ষে সেদিন দুই উইকেট নিয়ে ছুঁয়ে ফেলেন সাকিব আল হাসানের ১১ উইকেটের কীর্তি। বাংলাদেশ সময় গতকাল মঙ্গলবার সকালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করে সাকিবকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেন এই লেগ স্পিনার। পরে তিনি এক ওভারেই রাহমানউল্লাহ গুরবাজ ও গুলবাদিন নাইবকে আউট করে আরও সমৃদ্ধ করেন নিজের অর্জন।

গোটা টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচ খেলে ২৫ ওভার বোলিং করে ১৪ উইকেট রিশাদের। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.৭৬। সাকিব ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ২০২১ আসরে। সেবার ৬ ম্যাচ খেলে ২২ ওভার বোলিং করেছিলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার, ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন মাত্র ৫.৫৯।

প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসে এবার আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের আরেক তরুণ। শরিফুল ইসলাম ফিট থাকলে যার খেলার সুযোগই হয়তো হতো না, সেই তানজিম হাসান এবার নজর কাড়েন আগ্রাসী বোলিং দিয়ে। আফগানদের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ে উইকেটশূন্য থাকলেও ১১ উইকেট নিয়ে তিনি স্পর্শ করেন সাকিবকে। ২১ বছর বয়সি পেসার ৭ ম্যাচ খেলে বল করেছেন ২৪ ওভার। রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৬.২০। এছাড়া ২০১৪ আসরে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার আল আমিন হোসেন, ২০১৬ আসরে ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব। ২০১৬ আসরেই স্রেফ ৩ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড এতদিন ছিল ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার একার। ২০২১ আসরে ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট শিকার করেন শ্রীলঙ্কান লেগ স্পিনার। এবার সেই রেকর্ড স্পর্শ করেন ফাজালহাক ফারুকি। বাংলাদেশের বিপক্ষে তানজিদ হাসানকে এলবিডব্লিউ করে আফগান পেসারের উইকেট এখন ১৬টি। রেকর্ডটি শুধুই নিজের করে নেয়ার হাতছানি তার সামনে আছে সেমিফাইনালে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত