ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যর্থ শান্তরা দেশে ফিরছেন কাল

ব্যর্থ শান্তরা দেশে ফিরছেন কাল

সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লজ্জার হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। এবার দেশে ফেরার পালা। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখবে ক্রিকেটাররা।

নবম আসরে বড় কোনো প্রত্যাশা ছিল না লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর ব্যাকফুটে থেকেই আসর শুরু করেছিল তারা। গ্রুপপর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে সুপার এইটে খেলবে বাংলাদেশ এমন আশা অন্ধ সমর্থকরাও হয়তো করেনি।

তিন জয়ে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর টাইগারদের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ জমিয়ে দেয় আফগানরা। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে সেমিতে খেলার সুবর্ণ সুযোগ এসে যায় বাংলাদেশের সামনেও। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের জয়েরও ভূমিকা ছিল। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তেইশ বিশ্বকাপ ফাইনালের বদলা নিয়েছে রোহিতরা। তাদের জয়ে সেমির দৌড়ে আশা বেঁচেছিল বাংলাদেশেরও। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতা আর ভুল কৌশলে সেই সুযোগ হেলায় হারিয়েছে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করতে পারলেই সেমিতে পৌঁছে যেতেন শান্ত-সাকিবরা। কিন্তু সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে পূরণের চেষ্টাটাই করা হয়নি। ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করা বহুদূরে শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ১১৪ রানও টপকে যেতে পারেনি শান্ত বাহিনী। ডিএল মেথডে ৮ রানে হেরে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করেছে টাইগাররা। যাদের হারাতে পারলে শেষ চারে পা রাখা যেত, সেই আফগানরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমির যুদ্ধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখন দেশে ফেরার জন্য ব্যাগ, লাগেজ, ট্রলি গোছানোয় ব্যস্ত টিম বাংলাদেশের সদস্যরা। সব ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকায় ফিরে আসবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

মাঝে বেশ কিছু দিন সময়টা ভালো কাটেনি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রর কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ পরাজয়টা বাংলাদেশের অতিবড় সমর্থককেও ভাবিয়ে তুলেছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কি হয়, কি হয়!- এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এক কথায় বুকভরা শঙ্কা নিয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অভাবনীয়ভাবে সেমিতে খেলার একটা সুযোগ চলে এসেছিল সামনে, সে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার হতাশা আছে অবশ্যই। তবে এটা সত্য যে, বাংলাদেশ যে অনিশ্চিত যাত্রা শুরু করেছিল, সে তুলনায় গ্রুপ পর্বের প্রাপ্তি মন্দ নয়। বেশিরভাগ ভক্ত, সমর্থক ও বিশেষজ্ঞের ধারনা ছিল, বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডস আর নেপালের বিপক্ষেই শুধু জিতবে। দক্ষিণ আফ্রিকা আর শ্রীলঙ্কার সাথে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকেও হারিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারানোর যথেষ্ঠ সম্ভাবনা ছিল; কিন্তু তীরে গিয়ে তরি ডোবে। প্রোটিয়াদের ১১৩ রানে থামিয়েও পারেনি শান্তর দল। ৪ রানে হেরেছে। এছাড়া নেদরল্যান্ডস ও নেপালের সাথে যথাক্রমে ২৫ ও ২১ রানে জিতেছে টাইগাররা। তবে সুপার এইটে এসে তিন খেলার সবকটায় পরাজয় সঙ্গী থাকলো। অস্ট্রেলিয়ার কাছে বৃষ্টি ভেজা ম্যাচে ডিএল মেথডে ২৮ রানে এবং ভারতের কাছে ৫০ রানের পরাজয় ছিল সঙ্গী। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনই ৩ ম্যাচ জিতেনি। এবার ৩ ম্যাচ জিতেই দেশে ফেরত আসছে। বরং ব্যাটিং পারফরমেন্স ভাল হলে এবং ব্যাটাররা দায়িত্ব ও কর্তব্যটা যথাযথভাবে পালন করতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে গ্রুপ ম্যাচ আর আফগানিস্তানের সাথে সুপার এইটেও জেতারও সুযোগ এসেছিল। সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে সেমিফাইনালে পা রাখার সম্ভাবনাও ছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত