বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যাটাররা ফর্মে না থাকায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না লাল সবুজ দলের সমর্থকের। তবে নবম আসরে সূচনাটা দারুণ হয়েছিল টাইগারদের। চার ম্যাচের তিনটি জিতে সুপার এইটে নাম লিখেছিল নাজমুল হাসান শান্তর দল। শেষ আটে টানা দুই ম্যাচ হারলেও সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে খেলার। কিন্তু সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হয়েছেন হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়েও হারায় সামাজিকমাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ ঝাড়েন ভক্ত-সমর্থকরা। বিশ্বকাপ মিশন শেষে গত শুক্রবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে দলের সহঅধিনায়ক তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আসলে সত্যি কথা বলতে, ভালোর তো কখনো শেষ নেই। ভালো হোক আর খারাপ হোক হ্যাঁ, আরো অনেক ভালো হতে পারত। কিছু ইতিবাচক দিক আছে। কিন্তু নেতিবাচকের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও একটু হতাশ। প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।’

যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে দলের পারফরম্যান্সে তারা খুশি। প্রত্যাশিত পারফর্ম করেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা, এমনটাই মত বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে গতকাল শনিবার কথা বলেছেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমাদের একটা টার্গেট ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার এইট) কোয়ালিফাই করা।

সেদিক দিয়ে আমরা কোয়ালিফাই করেছি। অবশ্যই এটা ইতিবাচক দিক যে টার্গেটে পৌঁছতে পেরেছে। দুইভাগে যদি ভাগ করি, তাহলে একদিক দিয়ে টার্গেটে পৌঁছতে পারায় সবাই খুশি।’ এরপর যা ছিল ওভারঅল পারফর্মেন্সে। যদি আপনি ব্যাটিং আর বোলিংয়ে বলেন, আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা ভালো ব্যাট করিনি। প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচের চারটিতেই কিন্তু আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে খুব ক্লোজ ম্যাচ হেরেছি। টপ অর্ডারে নিয়মিতি ধস নেমেছে বলে আমরা ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি।’ বিশ্বকাপে ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে বোলারদের পারফরমেন্সে নিয়ে খুশি নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আপনি যদি আরো প্রাপ্তির কথা বলেন, তাহলে আমাদের বোলিং বিভাগে প্রাপ্তি আছে। আমাদের পেসার এবং স্পিনাররা ব্রিলিয়ান্ট বোলিং করেছে। বিশেষ করে রিশাদ। নিজেকে প্রমাণ করতে ওর জন্য এটা বড় মঞ্চ ছিল। সে সব মিলিয়ে ভালোই করেছে। সব মিলিয়ে দেখেন, এই বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলেছি।’

এ বিশ্বকাপে টপ অর্ডারদের ব্যার্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে এভাবে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হতে আমরা এর আগে কখনো দেখিনি। হয়তো একজন ফেইল করেছে, আরেকজন গিয়ে কভার করেছে। টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডারেও আমরা ফেইল করেছি। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা বেশি। সবাই স্বীকার করে। খেলোয়াড়রাও স্বীকার করে।’ তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘তবে মাঠে গিয়ে কেউ খারাপ খেলতে চায় না। সবাই ভালোই খেলতে চায়। ব্যাটিংয়ের যেসব জায়গায় দুর্বলতা আছে, সেগুলো খুঁজে বের করে কাজ করতে হবে।’