কোপা আমেরিকা

ভিনিসিয়ুস জাদুতে জয়ে ফিরল ব্রাজিল

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

দুর্বল কোস্টারিকার বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ শাণিয়েও গোলের দেখা পায়নি ভিনিসিয়ুস, স্যাবিও ও লুকাস পাকেতারা। তাই হতাশার ড্র দিয়ে কোপা আমেরিকা শুরু করেছিল ব্রাজিল। দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে সমর্থকদের ধৈর্যধারণ করতে বলেছিলেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেলেসাওরা। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জাদুতে জয়ে ফিরেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। লাস ভেগাসে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। দুই গোল করে জয়ের নায়ক ভিনিসিয়ুস। একটি করে গোল করেন স্যাবিও ও লুকাস পাকেতা। এই জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড এখনো নিশ্চিত না হলেও অনেকটাই এগিয়ে গেল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ব্রাজিলের চার গোলের প্রথম তিনটাই আসে বিরতির আগে। শুরুতে পেনাল্টিসহ বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করা অন্যতম ফেভারিটরা গা ঝাড়া দিয়ে পর পর আদায় করে নেয় তিন গোল। বিরতির পর এক গোল হজম করে ফিরিয়ে দেয় আরেকটি। পুরো ম্যাচে ৫৫ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলমুখে ১৭টি শট নেয় ব্রাজিল। যার চারটা থেকে আসে গোল। বড় ব্যবধানে হারলেও প্যারাগুয়েও নেয় ১৪ শট। খেলার শুরুতে ব্রাজিল বল দখল নিয়েই আক্রমণ সাজায়। ভিনিসিয়ুস শুরু থেকেই আতঙ্ক ছড়ান প্রতিপক্ষ রক্ষণে। তবে ১৫ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় প্যারাগুয়ে। বক্সের বেশ বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নেন দামিয়ান বোবাদিলা। এডার মিলিতার গায়ে লেগে তা দিক পালটে ব্রাজিলের জালের দিকে যাচ্ছিল। অ্যালিসন বেকার বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে তা বাঁচান। প্যারাগুয়ের আচমকা আক্রমণ সামলে ধারালো ফুটবল খেলতে থাকে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সুযোগও এসে যায়। ৩০ মিনিটে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করেন প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডার। পেনাল্টি পেয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে দরিভাল জুনিয়রের দলের। কিন্তু লুকাস পাকেতা বাজে শটে হাতছাড়া করেন সেই সুযোগ। চরম হতাশা বাড়ে ব্রাজিলের শিবিরে। তবে মিনিট পাঁচেক পরই প্রায় একক নৈপুণ্যে দলের হতাশা দূর করেন ভিনিসিয়ুস। বাম প্রান্তে এক ডিফেন্ডারকে ব্রাজিলিয় ঘরানায় কাটিয়ে পাকেতার কাছে বল দিয়ে তীব্রগতিতে বক্সের ডান প্রান্তে চলে যান ভিনি। পাকেতা সেই বল ফিরিয়ে দিলে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

গোল পেয়ে দাপট আরো স্পট করে ব্রাজিল। চলতে থাকে মুহুর্মুহু আক্রমণ। ৪২ মিনিটে রদ্রিগোর শট বারে লেগে ফিরে আসার পর সেই বল ধরে রেখেই চলে আক্রমণ। রদ্রিগো এক মিনিট পরে সুযোগ তৈরি করে ফের শট নিলে গোলকিপার তা পাঞ্চ করেন, তবে কাছেই দাঁড়ানো স্যাবিনহোর টোকা মেরে ব্যবধান বাড়াতে কোন সমস্যা হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আসে আরেক গোল। মাঝ মাঠ থেকে দ্রুত আক্রমণে গিয়ে রদ্রিগোর কাছ থেকে বল পেয়ে আরেক গোল আদায় করেন ভিনিসিয়ুস। তিন গোলে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল পরাশক্তি। বিরতির পরই এক গোল ফিরিয়ে দেন প্যারাগুয়ে। বক্সের বেশ বাইরে থেকে বাম পায়ের জোরালো শটে ওমর এলদেরেতে পান দারুণ গোল। মিনিট খানেক পর আরেক গোল পেতে পারত তারা। এবার তাদের জোরালো শট দারুণ দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে আটকান অ্যালিসন। ৫৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে মারা রদ্রিগোর শট আটকান প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক।

৬৩ মিনিটে প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডার আবার বল আটকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হাতে লাগান। আবার পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। এবার মিস করেননি পাকেতা। ৪-১ গোলে গিয়ে যায় ব্রাজিল। শেষ দিকেও আরও কিছু সুযোগ আসে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনায় চেষ্টা চালান ভিনিসিয়ুস, তবে তাকে আটকে যেতে হয় প্রতিপক্ষের রক্ষণে। ৮০ মিনিটের পর ফাউল করে লাল কার্ড প্যারাগুয়ের আন্দ্রেস কুবাস। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খারাপ সময়ে থাকা ব্রাজিল।