‘মনে হচ্ছিল ট্রফি বাউন্ডারি পেরিয়ে যাচ্ছে’

সূর্যকুমার যাদব

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের নিকটে পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল তাদের। হার্দিক পান্ডিয়ার করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই লং অফে উড়িয়ে মারেন ডেভিড মিলার। সীমানা দড়ির কাছে অসাধারণ দক্ষতায় সূর্যকুমার যাদব সেটিকে তালুবন্দি করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের একটি ক্যাচই শিরোপা জিতিয়েছে ভারতকে। শিরোপাবঞ্চিত হয়েছে প্রোটিয়ারা। সেই দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে এবার সরাসরি কথা বলেছেন সূর্য। ক্যাচ নেয়ার সময় তার অনুভূতি কেমন ছিল, সেটিই অকপটে বলেছেন এই ভারতীয়। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সূর্যকুমার জানিয়েছেন, সেই তার কাছে মনে হয়েছিল, বাউন্ডারি লাইনের উপর দিয়ে বহুল আকাঙ্ক্ষিত শিরোপা চলে যাচ্ছে এবং সেটি অন্য কোনো দলের হাতে গিয়ে পড়ছে। সূর্য বলেন, ‘এখন বলা সহজ। কিন্তু সেই সময় মনে হচ্ছিল, একটা ট্রফি বাউন্ডারি পেরিয়ে ওপারে চলে যাচ্ছে। তবে হ্যাঁ, সেই মুহূর্তে আপনি মনে করবেন না বলটি বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করবে এবং ছক্কা হবে। যা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমি চেষ্টা করেছি। এবং সেই মুহুর্তে বাতাসও একটি বড় কারণ ছিল। আমাকে কিছুটা সাহায্য করেছিল।’ ভারতের দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ের অন্যতম নায়ক বলেন, ‘আমরা আমাদের ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে অনেক অনুশীলন সেশন করেছি এবং এর মতো প্রচুর ক্যাচ নিয়েছি। তাই যখন এই ধরনের খেলার কথা আসে, তখন আমাদের মনের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ সূযকুমার্র জানান, তার এক সময় মনে হয়েছে, তারা ম্যাচটি হারতে যাচ্ছে। কিন্তু দুই পেসার অশ্বদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ উইকেট ফেলে দিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন ও শেষ পর্যন্ত শিরোপাও জিতিয়েছেন। এ বিষয়ে সূর্য বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি মজার খেলা। এটি দারুণ অনিশ্চিত খেলা এবং শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত খেলা শেষ হয় না। আমি মিথ্যা বলবো না। কিছু মুহূর্তে আমরা অনুভব করেছি যে, আমাদের জয় এবং তাদের জয়ের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। কিন্তু মনের দিক থেকে আপনি নিজেকে মনে করিয়ে দেন যে, আপনি ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর গত ২ বছর ২ মানে কতটা পরিশ্রম করেছিলেন। আমাদের হাতে বুমরাহের ২ ওভার এবং আশ্বদীপের ১ ওভার হাতে ছিল। তারা তাদের খেলায় পরিকল্পনার শীর্ষে ছিল। তাই আমার বিশ্বাস ছিল যে, এই ছেলেরা খেলাটি ঘুরিয়ে দিতে পারে।’