পেনাল্টি মিস করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

এটাই আমার শেষ ইউরো

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে যেন নিজের ছায়া হয়ে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সময় যতই বাড়ছে ততই হতাশ করছেন সিআর সেভেন! কোনোভাবেই গোলের দেখা পাচ্ছেন না তিনি। তবুও আল নাসর ফরওয়ার্ডের ওপর আস্থা রেখেছেন পর্তুগালের প্রধান কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। রোনালদোকে প্রতি ম্যাচেই একাদশে রাখছেন তিনি। কিন্তু সেভাবে গুরুর আস্থার প্রতিদান দিতে পারছেন না দলের সেরা তারকা। গত সোমবার রাতে নক আউট পর্বে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে তো দুঃস্বপ্নের একটা রাতই কাটালেন তিনি। জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট অ্যারেনায় শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে পর্তুগাল। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র ছিল। তবে দলকে এগিয়ে দেয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল রোনালদোর সামনে। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি।

ম্যাচ শেষে তাই স্বাভাবিকভাবেই অনুভূতিটা মিশ্র রোনালদোর। এরমধ্যেই ইউরোপীয় এই প্রতিযোগিতায় নিজের শেষ আসর জানিয়ে বলেন, ‘এটি অবশ্যই আমার শেষ ইউরো। তবে আমি এতে অনুপ্রাণিত নই, আমি ফুটবলের সঙ্গে জড়িত সবকিছু দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি। খেলাটির জন্য আমার যে উৎসাহ আছে, আমার ভক্তদের এবং আমার পরিবারকে দেখার উত্তেজনা, আমার প্রতি মানুষের যে স্নেহ রয়েছে।’ তবে ইউরোতে শেষবারের মতো খেললেও এখনই ফুটবল ছাড়ছেন না আল-নাসর তারকা, ‘এমন নয় যে আমি ফুটবল ছেড়ে দিচ্ছি, কারণ আমি যদি করি, তাহলে আমার জন্য আর কী করার বা জেতার থাকে? এটা আরো এক পয়েন্ট বা এক কম পয়েন্টে নামবে না। মানুষকে খুশি করাই আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে।’

অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করতে না পায় ম্যাচ চলাকালীন সময়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রোনালদো। এ সময়ে তার সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ দিয়াগো দালত তাকে সান্ত¡না দেন। যদিও পেনাল্টি মিসের খেসারত দেওয়ানি গোলরক্ষক দিয়াগো কস্তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে। পেপের ভুলে বেঞ্জামিন সেস্কো তাকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন। অবিশ্বাস্য দক্ষতায় সেবার তো বটেই, টাইব্রেকারেও কোনো বল জালে যেতে দেননি এই গোলরক্ষক। পেনাল্টি মিসের বিষয়টি তুলে ধরে রোনালদো বলেন, ‘অনেক শক্তিশালী লোকেদেরও (বাজে) দিন যায়। শুরুতে দুঃখ এবং শেষে আনন্দ, এটাই ফুটবল আপনাকে দিবে। এইগুলো অবর্ণনীয় মুহূর্ত। আমার কাছে জাতীয় দলকে এগিয়ে রাখার সুযোগ ছিল এবং আমি তা করতে পারিনি। গত এক বছরে আমি একবারও মিস করিনি এবং যখন আমার এর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, ওবলাক এটা আটকে দিয়েছে।’ শেষ পর্যন্ত দল জয় পাওয়ায় দারুণ খুশি এ পর্তুগিজ তারকা, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোয়ালিফাই করা উপভোগ করা। দলটি একটি অসাধারণ কাজ করেছে, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি এবং আপনি যদি ম্যাচটি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেন তবে পর্তুগালের এটি (জয়) প্রাপ্য ছিল কারণ আমাদের বেশি সুযোগ ছিল।’