ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যাংককে নেয়া হচ্ছে নাফিস ইকবালকে

ব্যাংককে নেয়া হচ্ছে নাফিস ইকবালকে

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনার পর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল নাফিস ইকবালের। জাতীয় ক্রিকেট দলের লজিস্টিকস ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা সাবেক এ ব্যাটারের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে ঝুঁকি এড়িয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে। সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেয়ার কথা নাফিসকে। বড় ভাইয়ের অসুস্থতার খবর জেনে গত শুক্রবার দুবাই থেকে দেশে ফেরেন ছোট ভাই তামিম ইকবাল। তিনি ফেরার পর পরিবারের সবাই আলোচনা করে দেশের বাইরে নেয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়। নাফিসের সঙ্গে ব্যাংককে গেছেন তার মা, স্ত্রী ও বোন। ভিসা করানোর পর যাবেন তামিমও।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আপাতত নাফিস মোটামুটি শঙ্কামুক্ত। তবে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা বলে যে কোনো সময় অবস্থার অবনতির শঙ্কাও থাকে। সেই ধরনের জরুরি অবস্থা হলে যাতে কোনো বিপদে পড়তে না হয়, এজন্যই মূলত তাকে দেশের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার ভোরের দিকে নিজ শহর চট্টগ্রামে প্রচণ্ড অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে নেওয়া হয় নাফিসকে। সেখানে সিটি স্ক্যান করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, তার ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে। পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় হাসপাতালে আনা হয় ৩৯ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যানকে।

ঢাকায়ও এমআরআই করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, মাইনর স্ট্রোক হয়েছিল তার। খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশের হয়ে ১১টি টেস্ট ও ১৬টি ওয়ানডে খেলেছেন নাফিস। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট রাঙিয়ে একসময় তিনি ছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক। পরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও সাড়া জাগানো কয়েকটি ইনিংস খেলে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কিছু স্মরণীয় ইনিংস ও স্মৃতি তার আছে। তবে শেষ পর্যন্ত সম্ভাবনার পূর্ণতা দিতে পারেননি। ২০০৬ সালের পর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি খেলে গেছেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। গত বছর দুয়েক ধরে বিভিন্ন সিরিজ জাতীয় দলের ম্যানেজার ও লজিটিস্টকস ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। ক‘দিন আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন দলের লজিস্টিকস ম্যানেজার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত