ক্রীড়ায় অনুদান ৩৬ কোটি টাকা

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত বছর ক্রীড়া উন্নয়নে সরকারের বাজেট ছিল ৩৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মাত্র ১০ লাখ বাড়িয়ে তা ৩৬ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, ৬৪ জেলা ও আট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার পরিচালন ব্যয়, খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ সব কিছু মিলিয়ে এই পরিমাণ অর্থের বাজেট করা হয়েছে।

ক্রীড়াঙ্গনের মানোন্নয়নের জন্য এই বাজেট একেবারে অপ্রতুল-সেটাও মানেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান এমপি। তারপরও ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে তিনি আশ্বস্ত করে গতকাল বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ে আমরা একটা চাহিদাপত্র দিয়েছি। সেই চাহিদাপত্রের কতটুকু পূরণ হবে জানি না। সেখান থেকে কিছু পেলে আমরা ফেডারেশনগুলোকে আরো সাপোর্ট দিতে পারব।’ ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেয়া চাহিদা পত্রে অবশ্য ফুটবল ফেডারেশন নেই। সেটি গতকাল বুধবার স্পষ্টভাবেই বলেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ‘অন্য সব ফেডারেশন মিলিয়ে যা চাহিদা। ফুটবলে একাই সেই চাহিদা। ফুটবলের সঙ্গে আরেকবার আলোচনায় বসে ঠিক করতে হবে।’ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সর্বোচ্চ ২৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। বাফুফের চেয়ে ৬০ হাজার কম হকি ফেডারেশন। সাঁতার, অ্যাথলেটিকস, শুটিং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা করে। ২০ লাখ টাকার উপরে রয়েছে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, ভলিবল ফেডারেশন। টেবিল টেনিস, জিমন্যাস্টিক্স, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন প্রায় ১৫ লাখ টাকা। সম্প্রতি গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান দাবা বোর্ডে খেলার সময়েই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাই এবার নড়েচড়ে বসেছেন খোদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী। তার কথা, ‘চিকিৎসক অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ করা হবে।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কালকের সভায় টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামের নাম ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল’ নামকরণের প্রস্তাব উঠেছিল। আরেকটি প্রস্তাবনা ছিল বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশন ‘অ্যামেচার ’ শব্দটি বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছিল। এই দু’টি বিষয় আলোচনা হলেও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের জন্য কার্যবিবরণী অনুমোদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।