‘কোপা আমেরিকা অপেশাদার টুর্নামেন্ট’

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

চলমান আছে এমন মহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে কোপা আমেরিকাই সবচেয়ে প্রাচীনতম। ১৯১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর এবার চলছে ৪৮তম আসর। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই প্রতিযোগিতায় এবার অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আসরের শুরু থেকেই আয়োজকদের বিভিন্ন বিষয়ে ঘাটতি দেখা গেছে। আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মাঠের ঘাস নিয়ে। কানাডার কোচ জেসে মার্শের মনে হচ্ছে, কোপা আমেরিকায় তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকদের মতন আচরণ করা হয়েছে। উরুগুয়ের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা বলছেন, কনমেবল অপেশাদারভাবে কোপা আয়োজন করেছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের আসর কোপা আমেরিকা। ২০২৬ সাল কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রেই হবে বিশ্বকাপ ফুটবলও। উরুগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ বিয়েলসা তো সার্বিক আয়োজন নিয়েই বিরক্ত, ‘মাঠগুলো উপযুক্ত না থাকার পরও সংবাদ সম্মেলনে এগুলো ঠিক আছে বলে আমাদের হুমকি দেয়া হয়েছে। ফুটবলারদেরও কোনো কথা বলতে বারণ করা হয়েছে। অনুশীলন মাঠগুলো ছিলো অগোছালো। বলিভিয়া তো অনুশীলনই করেনি, দলটি বলিভিয়া বলে কিছু হয়নি। এই টুর্নামেন্ট আমার কাছে পেশাদার মনে হয়নি। অনেক অব্যবস্থাপনা ছিলো।’ টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম খেলতে এসে ১৪টি হলুদ কার্ড হজম করেছে কানাডা। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনালে কোচ মার্শ নিজেও পেয়েছেন হলুদ কার্ড। এই কার্ড দেয়ার বিষয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তার, ‘কনকাকাফ অঞ্চলের দলগুলোর বেলায় কার্ড পাওয়ার হার অনেক বেশি।’ আয়োজক দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন (কনমেবল) হলেও কনকাকাফ অঞ্চলের একাধিক দল আমন্ত্রিত হিসেবে খেলে এই আসর। মার্শ মনে করেন দক্ষিণ আমেরিকান দলের তুলনায় তাদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে, ‘পুরো আসর জুড়ে আমরা সামাজিক মাধ্যমে ও সামনাসামনি বর্ণবাদের শিকার হয়েছি। আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-উরুগুয়ে ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী রেফারিং হয়েছে।’ কলম্বিয়া-উরুগুয়ে সেমিফাইনালের পর দর্শকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান উরুগুয়ের ফুটবলাররা। এই ঘটনা কানাডার কেউ ঘটালে এতক্ষণে নিষিদ্ধ করা হতো বলেও মনে করেন কানাডা কোচ। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে রোববার বাংলাদেশ সময় ৬টায় নামবে উরুগুয়ে ও কানাডা। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন দল দুটি কোচ। সেখানে মারামারির ঘটনা প্রসঙ্গে বিয়েলসা বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা ফুটবলারদের বিরুদ্ধে নয়, বরং যারা এমনটা করতে বাধ্য করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। এটা অপমানজনক।’ এদিকে কানাডা কোচ মার্শকেও সংবাদ সম্মেলনে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কলম্বিয়া সমর্থক-উরুগুয়ে ফুটবলারদের সেই মারামারির ঘটনা নিয়ে। সেখানে এই মার্কিন কোচ বলেন, ‘আমি (বিয়েলসার সংবাদ সম্মেলন) পুরোটা দেখিনি। তবে তার কিছু মন্তব্য দেখেছি। কিছু বিষয়ের সঙ্গে আমি একমত। টুর্নামেন্ট আমার কাছে পেশাদার মনে হয়নি। এটির ব্যবস্থাপনায় অনেক সমস্যা আছে।’