ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘পাকিস্তানে তুমুল জনপ্রিয় কোহলি’

‘পাকিস্তানে তুমুল জনপ্রিয় কোহলি’

দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত-পাকিস্তানের নাগরিকদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ রয়েছে। নানা কারণে প্রতিবেশী দেশ দু’টির মধ্যে রাজনৈতিক সমস্যা লেগেই থাকে। তাদের এ সমস্যা পৌঁছেছে খেলার মাঠেও। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে আর পাকিস্তান সফর করেনি ভারতীয় দল। ২০০৮ সালের পর অবশ্য লম্বা সময় দেশটিতে যায়নি কোনো দলই। বর্তমানে ভারত ছাড়া সবগুলো দলই পাকিস্তানে গিয়ে খেলছে। কিন্তু রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ হয় না ২০১৩ সালের পর। তবে এবার ভারতকে পাকিস্থানে গিয়ে খেলতে হতে পারে। কারণ, পাকিস্তানে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানে খেলতে না গেলে প্রয়োজনে তাদের ছাড়াই আইসিসির অনুমতি নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে তারা। এমন অবস্থার মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলি ও ভারতীয় দলকে নিজ দেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি। প্রায় ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কখনও পাকিস্তানে যাওয়া হয়নি কোহলির। তবে সেখানকার ক্রিকেট অনুসারীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা তুমুল বলেই জানালেন আফ্রিদি। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসবে পাকিস্তানে। খসড়া যে সূচি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ভারতের সব ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরে। তবে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর, পাকিস্তানে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে ভারতের নেই। গত এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হলেও ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলেছে শ্রীলঙ্কায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও নিজেদের ম্যাচগুলো তারা শ্রীলঙ্কা বা দুবাইয়ে খেলতে চায় বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে সবশেষ গত মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল, ভারতীয় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। সব মিলিয়ে যথারীতি এবারো ভারতের পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে প্রবল। এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি অনুরোধ করলেন সেই অনিশ্চয়তাই দূর করে দিতে। ক্রিকেটকে রাজনীতির বাইরে রাখার দাবি জানিয়ে সাবেক এই অলরাউন্ডার বললেন, কোহলির প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসার উষ্ণতায় ভারতীয়দেরকে ছাড়িয়ে যাবে পাকিস্তানের মানুষেরা। ‘ভারতীয় দলকে স্বাগত জানিয়ে রাখছি। পাকিস্তান যখন সফরে যেত, ভারতে আমরা অনেক সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি। ভারত যখন ২০০৫-০৬ মৌসুমে এখানে সফরে এসেছিল, তাদের সব ক্রিকেটার দারুণ উপভোগ করেছিল।’ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘ক্রিকেটকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। পাকিস্তান ও ভারতীয় দল একে অপরের দেশে যাচ্ছে এবং ক্রিকেট খেলছে, এর চেয়ে বড় শান্তির বার্তা তো আর হতে পারে না। বিরাট কোহলি যদি পাকিস্তানে আসে, ভারতের ভালোবাসা ও আতিথেয়তা ভুলে যাবে সে। তার জাতই আলাদা। পাকিস্তানে তার জনপ্রিয়তা প্রবল, এখানে লোকে তাকে অনেক পছন্দ করে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত