ক্রিকেটে বাংলাদেশকে প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিল মেয়েরা। ২০১৮ সালে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছিল টাইগ্রেসরা। দুয়ারে কড়া নাড়ছে মেয়েদের এই টুর্নামেন্ট। আগামী ১৯ জুলাই মাঠে গড়াবে নারী এশিয়া কাপ। এবারের আসরটি আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টে অংশ নিতে মঙ্গলবার দুপুরের ফ্লাইটে দেশ ছাড়বে নিগার সুলতানার দল। দেশ ছাড়ার আগে গতকাল সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি জানালেন ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ জয় তাদের অনুপ্রাণিত করছে, ‘এশিয়া কাপ আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য অন্য রকম একটা আবেগের জায়গা। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে কিন্তু বড় বিপ্লব (রেভল্যুশন) হয়েছে।’ আসন্ন এশিয়া কাপে নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে জ্যোতি বলেছেন, ‘সর্বশেষ এশিয়া কাপে সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এজন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, লম্বা সময় ধরে ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি দল হিসেবে ভালো করিনি। আমাদের মোমেন্টামের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ভালো করে শুরু করতে চাই।’ শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ খেললে বাংলাদেশ এশিয়া কাপ দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা সারতে চাইছে। আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে বসবে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ, বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া যাবে এশিয়া কাপের মাধ্যমে। শেষ দুটি সিরিজ খারাপ গেছে, একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এরপর একটা লম্বা বিরতি গেলো, এ সময় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে যারা ভালো করেছে, তারা দলে আছে। সর্বশেষ ক্যাম্পেও দেখলাম, সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা এখন ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’ লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরেছেন রুমানা আহমেদ ও জাহানারা আলম। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে ফেরায় দলের শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন নিগার, ‘অভিজ্ঞতা সব সময় কাজে লাগে। তারা দুজনই সর্বশেষ দুটি এশিয়া কাপে খেলেছেন। রুমানা আপু অনেক দিন পর ফিরলেন, জাহানারা আপুও। দুজনই কিন্তু সর্বশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। এ দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আমার মনে হয় দলে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে দেখেছি, তারা অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন। এটা দলের জন্য সুবিধা হবে।’
