ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘স্বপ্নের ক্লাবে আসতে পেরে আমি ভীষণ খুশি’

‘স্বপ্নের ক্লাবে আসতে পেরে আমি ভীষণ খুশি’

লামিনে ইয়ামালরা ইউরোপ সেরার ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছেন। সেই খুশিতে গোটা স্পেনজুড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার। গতকাল মঙ্গলবার তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা। উপলক্ষ্য ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া। চারিদিকে সাজসাজ রব। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ৮০ হাজার সিটের একটিও খালি নেই। এমনকি স্টেডিয়ামের বক্সগুলোও মানুষে ঠাসা। এমন মুহূর্তে সাক্ষী হতে চেয়েছিলেন সবাই। তাদের সামনে দিয়েই বার্নাব্যুর টানেল ধরে ওপরে উঠে এলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। তার স্বপ্ন সত্যি করে ভরা গ্যালারিতে বরণ করে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের প্রতি তার ভালোবাসা আজকের নয়। সেই শৈশবের। ১২ বছর আগে জিদানের ডাকে ট্রেনিং করতে এসেছিলেন এই ক্লাবের আঙিনায়। ‘আইডল’ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন, ঘুরেছিলেন জিদানের গাড়িতে। সেদিন আর এদিনের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। আবেগ তাই এমবাপের কণ্ঠে চেপে বসা অস্বাভাবিক নয় একটুও। অনেক টানাপড়নের পর রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিটা গত জুনে সারেন এমবাপ্পে। এদিন টানেল দিয়ে যখন তিনি মাঠে প্রবেশ করলেন ‘এমবাপ্পে, এমবাপ্পে’ স্লোগান শুনতে শুনতে, এরপর আনুষ্ঠানিক পরিচিতি পর্ব শেষে যখন ‘শুভ সকাল’ দিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন, চারিদিকে তখন পিনপতন নিরবতা। প্রিয় তারকার কথা শুনতে কান পেতে আছে সবাই। ‘আমি একটু স্প্যানিশে বলার চেষ্টা করছি। আমি অনেক রাত এই স্বপ্ন দেখেছি আজ সেটা সত্যি হলো। আমি খুবই খুশি। রিয়াল প্রেসিডেন্ট এবং যারা আমাকে এখানে আনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সবাইকে ধন্যবাদ। আমার আসার প্রক্রিয়া কঠিন ছিল, কিন্তু আমি এখন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়। আমার পরিবারকেও খুশি দেখছি।’ কথা শেষ করতে পারলেন না এমবাপ্পে! গ্যালারি প্রকম্পিত হলো সমর্থকদের গর্জনে, ‘ব্যাজে চুম্বন করো! ব্যাজে চুম্বন করো!’ এমবাপেও দেরি করলেন না একবিন্দু। তাৎক্ষণিক রিয়ালের ব্যাজ আঁকড়ে ধরে চুম্বন করলেন পরম মমতায়। সমর্থকদের সাথে একাত্ম হয়ে গেলেন। ফের বলা শুরু করলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। ‘এখন আমার স্বপ্ন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জেতা এবং আমি বলতে চাই, এই ক্লাব, এই ব্যাজের জন্য জানবাজি রেখে খেলব আমি। আশা করি, এই ক্লাবের হয়ে ইতিহাস লিখব।’

রিয়ালের জেতা ১৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফির সাথেও ছবি তুললেন এমবাপ্পে। ‘আমি খুবই শিহরিত। আসলেই রোমাঞ্চিত, খুব বেশি আবেগাপ্লুত। স্বপ্নের ক্লাব ও ফুটবল ইতিহাসের সেরা ক্লাবে আসতে পেরে আমি সত্যিই ভীষণ খুশি এর বেশি কিছু বলতে চাই না। কেন না, আরো বলতে গেলে আমি কেঁদে ফেলব। কিন্তু আমি আরেকটি জিনিস করতে চাই।’ এই বলেই এমবাপ্পে গণনা শুরু করলেন, ফের কান পেতে রইল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারি। এমবাপ্পে শুরু করলেন, ‘এক, দুই, তিন আলা মাদ্রিদ।’ গ্যালারিতেও কেঁপে উঠল প্রিয় তারকার সুরে সুরে মিলিয়ে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত