ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাদ্রিদের জনসমুদ্রে ইউরো চ্যাম্পিয়ন বরণ

মাদ্রিদের জনসমুদ্রে ইউরো চ্যাম্পিয়ন বরণ

মাদ্রিদের রাস্তায় অপেক্ষায় লাখো সমর্থক। প্রিয় তারকাদের বরণে বেশির ভাগই গায়ে জড়িয়েছেন নিজ দেশের জার্সি। ভেদাভেদ ভুলে বিজয়যাত্রা উদযাপন করতে এককাট্টা হয়েছে পুরো দেশের মানুষ। এমন গণজোয়ারের মাধ্যমেই বরণ করে নেওয়া হলো ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। দেশে ফিরেই মাদ্রিদের প্রাণকেন্দ্র সিবিলেস প্লাজায় জনসমুদ্রে অভিনন্দন আর ভালোবাসায় সিক্ত হয় লা ফ্লুয়েন্তের বীর ফুটবলাররা। ইউরোয় একযুগ পর শিরোপা জয়। তাও আবার রেকর্ড চতুর্থবারের মতো। বীর ফুটবলারদের অভ্যর্থনা জানাতে মাদ্রিদের রাস্তায় ঢল নামবে মানুষের, এটাই তো স্বাভাবিক। জার্মানির বার্লিন থেকে ট্রফি নিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার দেশে ফিরে ঠিক সেই অভ্যর্থনাই পেয়েছে লা ফ্লুয়েন্তের দল। ফুটবলের প্রচলিত আয়োজনে হুড খোলা বাসে ট্রফি নিয়ে মাদ্রিদ শহর প্রদক্ষিণ করে রদ্রি, পেদ্রি, মোরাতা, ইয়ামাল, উইলিয়ামসরা। সবার পরনে ছিল সাদা রঙের টি শার্ট। সারা রাস্তায় উৎসুক জনতার ভিড় ঠেলে এগোয় বাস। রাস্তার দুই ধারে উপস্থিত জনতার সঙ্গে বাড়িঘরের জানালা, ব্যালকনি থেকে চ্যাম্পিয়ন দলকে হাত নেড়ে, জাতীয় পতাকা উড়িয়ে অভনন্দন জানানো হয়। ফুটবলাররাও নেচে-গেয়ে, ট্রফি উঁচিয়ে তাদের আনন্দে শরীক হন। এর আগে মাদ্রিদের বারাজাস বিমানবন্দরে সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বহনকারী উড়োজাহাজ অবতরণ করে। কয়েক ঘণ্টা পর তারা জারজুয়েলা প্রাসাদ পরিদর্শনে যান। সেখানে স্কোয়াডের সবাই স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফেলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপর খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফরা মাদ্রিদের কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে ছাদখোলা বাসে প্যারেডের জন্য উঠেছিলেন। রাত ৯টার পরে প্লাজা সিবেলেসে বাস পৌঁছানোর আগে শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত রাস্তাগুলোর কিছু পাশ দিয়ে তাদের বহনকারী বাস গিয়েছিল। স্পেনের সরকার জানিয়েছে, পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ উদযাপনে অংশ নিয়েছিল। দলের সবার সঙ্গে উদযাপনের যোগদানের আগে স্পেনের অধিনায়ক আলভারো মোরাতা মঞ্চে ইউরো ট্রফি সামনে আনেন। ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন! এই দলের অধিনায়ক হতে পেরে আমি গর্বিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘কখনো কখনো আমি গোল করি, কখনো করি না। তবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, এই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের জন্য সবকিছু নিংড়ে দিয়েছি। আশা করি, আপনি এটি আমাদের মতো উপভোগ করেছেন। এটি ছিল জাদুকরী মুহূর্ত।’ স্পেনিয়ার্ডদের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে বলেন, ‘আমি এমন একটি দলের কোচ হতে পেরে গর্বিত। স্পেনের এই প্রজন্ম যে মূল্যবোধ ধারণ করে, আমরা তাতে গর্বিত। তারা স্পেনের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। আশা করি এমনটি অব্যাহত থাকবে।’ এবারের ইউরোতে স্বাগতিক জার্মানি, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি এবং ফেভারিট ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জয়সহ সাতটি খেলাই জিতেছে স্পেন। গ্রুপপর্বে ক্রোয়েশিয়া, ইতালি এবং আলবেনিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর জর্জিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোতে ৪-১ গোলের সহজ জয় পায়। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে ২-১ গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে জয় পায়। সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। শিরোপা নির্ধারণী খেলায় ইংল্যান্ডকে একই স্কোরলাইনে হারিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে। ব্যক্তিগত অর্জনেও ছিল স্পেনের জয়জয়কার। মিডফিল্ডার রদ্রি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় এবং উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল সেরা তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত