প্যারিস অলিম্পিক

ফিলিস্তিনির পতাকা বহন করা আমার স্বপ্ন

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসো সীন নদীর তীরে জমকালো আয়োজনে আনুষ্ঠানিক পর্দা উঠল ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক গেমসের। বিশ্বের সর্ববৃৎ এই ক্রীড়া আসরে অংশ নিতে এরমধ্যেই ভালোবাসার শহর প্যারিসে পৌঁছেছে ফিলিস্তিনের অ্যাথলেটরা। বিমানবন্দরে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নিয়েছেন সমর্থকরা। এবারের অলিম্পিক গেমস ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ। অলিম্পিকে বিশ্ববাসীর কাছে ইসরাইলি বর্বরতা তুলে ধরার সুযোগ থাকবে বলে মনে করছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। ইসরাইলের আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে নানা সংকটের মধ্যে ফিলিস্তিনি অ্যাথলেটরা অংশ নিচ্ছে এবারের অলিম্পিকে। গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ থামাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে শুধু নিজের স্বীকৃতিই নয়, আন্তর্জাতিক মহলে ইসরাইলকে প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিলিস্তিন। ফ্রান্সে পা রেখেই এ বিষয়ে কথা বলেছেন ফিলিস্তিনের অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট জিব্রিল রাজোব। তিনি বলেন, ‘ফিফা ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি থেকে ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে। ফিলিস্তিনিদের ন্যায়বিচার পাওয়ার এখনই সময়। ফ্যাসিবাদী ও দখলদারিত্বের বিপক্ষে লড়াই করার সময় এসেছে। যদি সত্যিই আন্তর্জাতিক বৈধতা, ন্যায়বিচার এবং জনগণের অধিকারকে সম্মান করেন তাহলে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি জানাতে আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্যারিস অলিম্পিকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অংশ নেবেন ৬ ফিলিস্তিনি অ্যাথলেট। যেকোনো একটি ক্যাটাগরিতে মেডেলের প্রত্যাশা তাদের। যদিও মেডেলের চেয়ে দেশের প্রতিনিধিত্বটাই মুখ্য তাদের কাছে। আসরে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ফিলিস্তিনিরা। এবারের গেমসে ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করবেন সাঁতারু ভালেরি তারাজি। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করতে পারাটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। অনেক আগে থেকেই এটা আমার স্বপ্ন ছিল। আমরা এখানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি এবং দেশের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই করার এটা সেরা উপায়।’ ২০২৩ এর অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের ৩০০ এর বেশি সংখ্যক অ্যাথলেট, রেফারি এবং ক্রীড়া কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন।