ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারী এশিয়া কাপ

ভারতকে থামিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

ভারতকে থামিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

আগের আট আসরের মধ্যে সাতবারই মেয়েদের এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। নবম আসরে অংশ নিয়ে অষ্টম শিরোপা জয়ের একেবারে কাছে পৌঁছে গিয়েছিল স্মৃতি মান্ধানা আর শেফালি ভার্মারা। কিন্তু ফাইনালে ভারতের আধিপত্য রুখে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। আর তাতেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে স্বাগতিক লঙ্কান মেয়েরা। গতকাল রোববার ডাম্বুলাতে শক্তিশালী ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করতে নেমে মান্ধনার ফিফটিতে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায়। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চামারি আত্তাপাতুরা ও হর্ষিতা সামারাবিক্রমার অর্ধশতকে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় লঙ্কান মেয়েরা। ভারতের দেয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন গুনারত্নে। তবে তার বিদায়ের পর ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। সামাবিক্রমাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লঙ্কান দলপতি চামারি আতাপাত্তু। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে দলীয় ৯৪ রানে দিপ্তী শর্মার ঘূর্ণিতে চামারি আউট হলে ভাঙ্গে এই জুটি। প্যাভিলিয়নে যাওয়ার আগে ৬১ রান করেন তিনি। আর তার বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন দেখে ভারত। তবে তাদের সেই আশায় গুড়েবালি। দিলহারিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সামারাবিক্রমা। সেই সঙ্গে ফিফটিও তুলে নেন তিনি। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সামারাবিক্রমা। আর এর মধ্যে দিয়ে ২০ বছরের অপেক্ষা ঘুচল শ্রীলঙ্কার মেয়েদের। পাঁচবার এশিয়া কাপ ফাইনাল খেললেও এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। এর আগে ডাম্বুলা রঙ্গিরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন শেফালি ভার্মা এবং স্মৃতি মান্ধানা। ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪৪ রান তুলে দুর্দান্ত শুরু করে দুই ভারতীয় ওপেনার। তবে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শেফালি। ১৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। উমা সেত্রীও ৯ রানে দ্রুত বিদায় নেন। ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরও। ১১ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১১ করে সাজঘরে ফেরেন।

ভারত দ্রুত উইকেট হারলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন স্মৃতি মান্ধানা। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬০ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে জেমিমাহ রদ্রিগেস ১৬ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত