চোটের কারণে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন জাতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। যে কারণে চলতি বছরে টাইগারদের হয়ে এখনো পর্যন্ত সাদা পোশাকের কোনো ম্যাচে খেলেননি এই গতি তারকার। তবে বিরতি কাটিয়ে আবারো টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন তাসকিন। সে লক্ষ্যে ব্যক্তিগত অনুশীলনও অব্যাহত রেখেছেন। আসন্ন পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেই দেখা যেতে পারে তাসকিনকে। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এ তথ্য জানান। তাসকিনের টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাসকিনের কালকে একটা অ্যাসেসমেন্ট ছিল সেটা হয়ে গেছে বোধহয়। ওকে বিবেচনা করা হচ্ছে যেটা সিলেক্টরদেরই কল, তো ওকে কনসিডার করা হচ্ছে। ওকে লাল বলের বিবেচনায় রেখেছে সিলেক্টররা। সিলেকশনের ব্যাপারটা যখন ফাইনাল টিম দেয়, তখন আপনারা বুঝতে পারবেন।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে বিশ্রামে ছিলেন ক্রিকেটাররা। তবে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলতে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেখান থেকে ফিরে সপ্তাহ খানেক বিশ্রামে ছিলেন তিনি। এরপর মিরপুরে জিম শুরু করেন। গত মঙ্গলবার ফিজিওর উপস্থিতিতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হালকা রানিং শেষে এই তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে ফেলিনি, বলেছি বিরতি নেব। তবে এখন মনে হচ্ছে, টেস্ট খেলা যায়। যদি কাঁধের চোট বেশি ঝামেলা না করে পাকিস্তান সিরিজে অন্তত একটা টেস্ট খেলে ফেলতে পারি। মানসিকভাবে আমি প্রস্তুত আছি।’ ‘খেলে ফেলতে পারি’ বলে তাসকিন পাকিস্তানে টেস্ট খেলার সম্ভাবনায় যে অবশিষ্টাংশ রেখে দিয়েছেন, সেটা মূলত এখনো কাঁধের চোট নিয়ে মৃদু সংশয় রয়ে যাওয়াতেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে চোট নিয়ে ফিরে এলপিএলেও সমস্যা ছাড়াই তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলে এসেছেন। টেস্টে বোলিংয়ের চাপ সে তুলনায় কিছুটা বেশি হওয়ার কথা, তবে বিশ্রাম নিয়ে খেললে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশাবাদী তাসকিন। তা ছাড়া এ বছর বাকি সময়ে বাংলাদেশের সামনে টেস্ট ম্যাচ আছে আটটি। টেস্ট ক্রিকেটের ভরা সময়ে লাল বল থেকে নিজেকে পুরোপুরি দূরে সরিয়ে না রেখে তাসকিনের ইচ্ছা বিশ্রাম নিয়ে হলেও টেস্টে থাকা। তাহলে সাদা বলের ক্রিকেটেও চাপ অতটা পড়বে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে এবং ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এ বছর বাংলাদেশ দল সাদা বলের ম্যাচ খেলবে আরও ৯টি। ‘এ’ দলের হয়ে পাকিস্তান সিরিজে খেলতে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুলসহ জাতীয় দলের কয়েকজন নিয়মিত ক্রিকেটারও। এ প্রসঙ্গে জালাল বলেন, ‘প্ল্যানটা নিশ্চয়ই সিলেক্টর রাজ্জাক ব্যাখ্যা করেছে। এখানে কিছু মেইনস্ট্রিমের প্লেয়ার আছে প্রায় ছয়জনের মতো। এর পরপরই সেখানে জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজ আছে। আমাদের যেহেতু পাকিস্তানে প্রাকটিস ম্যাচ নাই সেহেতু আমাদের মেইনস্ট্রিমের কিছু খেলোয়াড় প্রথম এ টিমে যাচ্ছে। যাতে তাদের সেখানে প্র্যাকটিসটা হয়ে যায়। সেজন্য তাদের অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে।’ এক বছরের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকা এবাদতকে নিয়ে জালাল বলেন, ‘এবাদত স্টিল ইজ রিকভারিং। তার সাথে আমাদের রেগুলার যোগাযোগ আছে। সে অলমোস্ট ৭০ পার্সেন্টের মতো রিকভার করেছে। সে বলছে আশা করি আরো দুই মাসের মধ্যে ইমচপ্রুভ করবে। এখনো সে রিকভার রিহ্যাবের মধ্যেই আছে এখন দেখা যাক।’
