রনির নৈপুণ্যে বিসিবি এইচপি’র বড় জয়

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচে বড় পরাজয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু করেছিল বিসিবি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দল। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সফরকারিরা। এক দিনের ম্যাচেও জয়ের সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে আফিফ হোসেনের দল। গতকাল বৃহস্পতিবার ডারউইনে নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইককে প্রথম ওয়ানডেতে ১১২ রানে হারিয়েছে বিসিবি এইচপি। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন আবু হায়দার রনি। আগে ব্যাট করে ২৫০ রান করে এইচপি। জবাবে স্বাগতিকদের ১৩৮ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশের দলটি।

বিসিবি এইচপি বোলারদের হয়ে দু’টি করে উইকেট শিকার করেন চারজন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি ১৭ রানে ২, আবু হায়দার ১৮ রানে ২, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ২২ রানে ২ ও রাকিবুল হাসান ২৭ রানে ২ নেন উইকেট। ২ উইকেটের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন রনি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় এইচপি। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম গড়েন শতরানের জুটি। ২০তম ওভারে ৩৭ করা পারভেজের বিদায়ে ভাঙে জুটি। এই জুটি ভাঙার পর উল্টা স্রোত বাংলাদেশের দলটির ইনিংসে। ফিফটি করে থামেন তানজিদও। ৬৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৩ করেন তিনি।

তার আগেই ফিরে যান তিনে নামা জিসান আলম। তরুণ আগ্রাসী ব্যাটার ১৩ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় থামেন ১১ রান করে। ব্যর্থ হন অধিনায়ক আফিফ হোসেনও। ১১ বলে ৬ করে তিনি আউট হলে ১৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে এইচপি। আচমকা নামা ধস ছোট জুটিতে থামান আকবর আলি ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। দুজনের ৩৪ রানের জুটি থামে ২৩ বলে ২০ করা শামীমের বিদায়ে। আকবর থিতু হয়েছিলেন। তবে স্লগ ওভারের প্রয়োজনে থাকতে পারেননি। ৩৮ বলে ২৬ রান করা কিপার ব্যাটার ফেরেন লাচেন ব্যাঙ্গসের বলে বোল্ড হয়ে। শেষ দিকে এইচপিকে আড়াইশ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কারিগর আবু হায়দার। ৪১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন এই পেস অলরাউন্ডার। এছাড়া মাহফুজুর রহমান রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। ২৫১ রানের পুঁজি নিয়ে নর্দার্ন টেরিটরিকে চেপে ধরে এইচপি। পঞ্চম ওভারে করনর ক্যারললকে এলবিডব্লিউতে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট নেন আবু হায়দার। নবম, দশম ও একাদশ ওভারে পর পর তিন উইকেট তুলে নেয় এইচপি। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধও যোগ দেন উইকেট তোলায়। রনি-মুগ্ধ মিলে পঞ্চাশের আগেই ফেলে দেন প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট। প্রবল চাপে টিকে ছিলেন জ্যাকব ডিকম্যান। তাকে খানিক সঙ্গ দেন হামিশ মার্টিন। কিন্তু তাতে দলকে জেতার রাস্তায় ফেরানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। রান আউটে তিনি ফেরার পর আর তাল রাখতে পারেনি নর্দার্ন টেরিটরি। কেবল হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে তারা।