ক্যারিবীয় অঞ্চলে

সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেন ক্লাইভ লয়েড

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

সত্তরের দশকের শেষদিকে ও আশির দশকের শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাফল্যের কাণ্ডারি ছিলেন ক্লাইভ লয়েড। ব্যাটার হিসেবে হার্ড হিটার ছিলেন এবং অল্প সময়ে দ্রুত রান তুলতে পারতেন। কৌশলগত দিক দিয়েও ছিলেন বেশ বুদ্ধিদীপ্ত। তার নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের দুই দশকের আধিপত্য তার হাত ধরেই চলেছে। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায় অমর এক কিংবদন্তির নাম ক্লাইভ লয়েড। ক্রিকেটের ময়দান পেরিয়ে বিশ্বমঞ্চেও যিনি উড়িয়েছেন ক্যারিবীয় পতাকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানা দুটি বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক লয়েডকে অর্ডার অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটিতে (ওসিসি) ভূষিত করা হলো। এটাই ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সর্বোচ্চ সম্মাননা।

ক্যারিকমের ৪৭তম নিয়মিত সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লয়েডকে এই এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে সম্মাননা গ্রহণ করেন লয়েড। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে এবং আমাকে অর্ডার অব দা ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির যোগ্য হিসেবে বিবেচনায় করায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমার কাজের এই স্বীকৃতি দেয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’ এমন সম্মাননা লয়েডের প্রাপ্য। সেটা কেন, তাই জানিয়ে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি কিশোর শ্যালো বলেন, ‘এই সম্মান তার জন্য খুবই উপযুক্ত, যিনি শুধু ক্রিকেট মাঠেই আনন্দের চূড়ান্ত উদাহরণ মেলে ধরেননি, বরং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ও গোটা বিশ্বের জন্যই অনুপ্রেরণার এক স্তম্ভ। ক্রিকেটের প্রতি স্যার ক্লাইভের নিবেদন ও খেলাটির উন্নতিতে তার অবদান অতুলনীয়।’ বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভীত গড়ে ওঠার মূল কারিগর ধরা হয় লয়েডকে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১০ টেস্টে ১৯ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৬৭ গড়ে ৭ হাজার ৫১৫ ও ৮৭ ওয়ানডে খেলে রান ৩৯.৫৪ গড়ে ১ হাজার ৯৭৭ রান করেছেন লয়েড। ক্রিকেটার হিসেব বাদ দিলেও লয়েড কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন তার নেতৃত্বের জন্য।

তার নেতৃত্বেই ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপ জয় করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে তার সেই ৮২ বলের বিধ্বংসী ইনিংসেই ধরা দেয় বিশ্বকাপ। তার সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে রাজত্ব করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক পর্যায়ে টানা ১১ সিরিজ জয় ও টানা ২৭ সিরিজে অপরাজেয় ছিল ক্যারিবীয়রা। খেলোয়াড়ি জীবনের বাইরেও সমান সফল লয়েড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যানেজার, কোচ ও নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন। আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তার কীর্তির জন্য ২০০৯ সালে আইসিসির হল অব ফেমণ্ডএ অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাকে। ২০২২ সালে দেয়া হয় ‘নাইটহুড’ উপাধি।