ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪

ব্যক্তিগত ইভেন্টেও ঝলক দেখালেন বাইলস

ব্যক্তিগত ইভেন্টেও ঝলক দেখালেন বাইলস

জিমন্যাস্টিকসের দুনিয়ায় তিনিই সর্বকালের সেরা, এটা প্রমাণ করতেই যেন প্যারিস অলিম্পিকসে নেমেছেন সিমোন বাইলস। টোকিও অলিম্পিকসের দুঃস্বপ্ন পিছনে ফেলে এরই মধ্যে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন কিংবদন্তি মার্কিন এই জিমন্যাস্ট। শুরুতেই দলীয় ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে দারুণ ফিরে আসার গল্প লিখেছিলেন বাইলস। এবার ব্যক্তিগত ইভেন্টেও ঝলক দেখিয়ে ফের সোনা জিতেছেন তিনি। অলিম্পিকসে এটি তার নবম পদক। জিমন্যাস্টিকসে বাকিদের চেয়ে তাতে অনেক অনেক উঁচুতে চলে গেলেন তিনি। দিন তিনেক আগে দলগত জিমন্যাস্টিকসে স্বর্ণ পদক জেতেন বাইলস। টোকিও অলিম্পিকসের দুঃস্বপ্ন মাটি চাপা দিয়ে প্যারিসে এসে পান প্রথম সাফল্যের স্বাদ। সেই সুর এবার বাইলস টেনে নিলেন অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে। ৫৯ দশমিক ১৩১ স্কোর গড়ে হাসলেন বিজয়ীর হাসি। এ নিয়ে চলতি অলিম্পিকসে দুটি সোনা জিতলেন তিনি, সব মিলিয়ে অলিম্পিকসে তার সোনার পদক দাঁড়াল ৬টি। রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকসে ৪টি সোনা জিতেছিলেন এই গ্রেট জিমন্যাস্ট।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অবিশ্বাস্যভাবে ২৩টি সোনা জয়ের কীর্তি তার আছে। অলিম্পিকস ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে তার মোট পদক এখন ৩৯টি। ২৭ বছর বয়সী এই মার্কিন জিমন্যাস্ট আরেকটি পাতায় নিজের নাম তুলেছেন। তৃতীয় অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকসের অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে দুটি সোনা জিতে তিনি বসেছেন ভেরা কাসলাভস্কা ও লারিসা লাতিনিনার পাশে। অবশ্য ভেরা ও লাসিরা ব্যাক-টু ব্যাক অলিম্পিকসের আসরে জিতেছিলেন; সেখানে বাইলস জিতলেন এক আসর পর। রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকস মাতানোর পর টোকিওতে এসে দলগত ইভেন্টে ভল্টে এসে দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যন্ত হতাশায় নিজেকে আসর থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বাইলস। সেই হতাশার ¯্রােত পেরিয়ে প্যারিসে এসে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। ব্রাজিলের রেবেকা ৫৭ দশমিক ৯৩২ স্কোর নিয়ে রুপা ও বাইলসের স্বদেশি সুনিসা লি ৫৬ দশমিক ৪৬৫ স্কোর গড়ে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।

২০১৬ রিও অলিম্পিকসে চারটি স্বর্ণ জিতে হইচই ফেলে দেন বাইলস। তখন তার বয়স ছিলো স্রফে ১৯। টোকিও অলিম্পিকসে মানসিক সমস্যায় ভুগে ভালো করতে পারেননি। জেতেন একটি রোপা ও দুটি ব্রোঞ্জ। এবার দারুণভাবে ফিরে এসে বুঝিয়ে দিলেন জিমন্যাস্টিকসে তিনিই শেষ কথা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত