ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪

ইতিহাস গড়ে ভাইরাল ইউসুফ

ইতিহাস গড়ে ভাইরাল ইউসুফ

গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ হিসেবে বিবেচিত হয় অলিম্পিক গেমসে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে থেকে অ্যাথলেটরা এখানে আসেন বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পদক জেতার লক্ষ্যে। লক্ষ্যপূরণে নিজেদের দক্ষতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন। শুটিংয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত অ্যাথলেটরা বেশ কয়েকটি সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন যা তাদের লক্ষ্যভেদ করতে সহায়তা করে। তবে এবারের প্যারিস অলিম্পিকে সহায়ক উপকরণ ব্যবহারের ধারেকাছেও যাননি ইউসুফ দিকেচ। স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় এই ইভেন্টে অংশ নিয়েই তুরস্কের হয়ে রুপা জিতেছেন তিনি। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টের মিশ্র জুটিতে গতকাল তুরস্কের প্রতিপক্ষ ছিল সার্বিয়া। সার্বিয়ান জুটির বিপক্ষে লড়াইয়ে দিকেচের সঙ্গে ছিলেন সেভাল লাদিয়া তারহান। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সোনা জিতেছে সার্বিয়ান জুটিই, তবে রুপা জিতে আলোচনায় আছেন তুরস্কের দিকেচ। শুটিংয়ের সময় অ্যাথলেটরা সাধারণত বিশেষ ধরনের লেন্স ব্যবহার করেন চোখে। এছাড়াও কানে ব্যবহার করেন ইয়ারমাফ যা শব্দনিরোধক হিসেবে কাজ করে। তবে দেশের হয়ে পদক জয়ের মিশনে নেমে এসব ব্যবহারের কথা হয়তো চিন্তাও করেননি দিকেচ। তিনি খেলেছেন চোখে সাধারণ চশমা পড়েই যেটি তিনি সবসময়ই পড়েন, কানে ইয়ারমাফের বদলে ব্যবহার করেন সাধারণ বাড। এছাড়াও অকেটে এক হাত দিয়ে যে ভঙ্গিমায় তিনি পিস্তল তাক করেছেন তাও দর্শকদের নজর কেড়েছে। দুই দলের প্রতিযোগীতার একটি ছবিতে দেখা যায়, সার্বিয়ান পুরুষ শুটার দামির মিকেচ খেলেছেন বিশেষ লেন্স এবং বেশ বড় ইয়ারমাফ ব্যবহার করেই। এদিকে রুপা জয়ের পর ইন্সটাগ্রামে দিকেচ লিখেন, ‘আমি খুবই খুশি যে আমরা নিজেদের ইতিহাসে প্রথম অলিম্পিক পদক জিতেছি। সাড়ে আট কোটি মানুষ যারা আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। এ পদক তুরস্কের প্রজাতন্ত্রের জন্য!’ ৫১ বছর বয়সী দিকেচ এর আগেও অংশ নিয়েছেন অলিম্পিকে। এটি তার পঞ্চমবারের মতো গ্রেটেস্ট শপো অন আর্থে খেলা। ২০০৮, ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ সালেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন, তবে এবারই প্রথম পদক জিতলেন। দিকেচ একসময় কাজ করেছেন তুরস্কের সেনাবাহিনীতে। সেখান থেকেই শুটিংয়ে আগ্রহ জন্মে তার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত