আর্জেন্টিনাকে বিদায় করে ফ্রান্সের প্রতিশোধ

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। যে কারণে প্যারিস অলিম্পিকস ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি ফরাসিদের জন্য ছিল প্রতিশোধের। উত্তেজনার ম্যাচে আর্জেন্টিনার অলিম্পিকস পদক জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চরম প্রতিশোধ নিয়েছে ফ্রান্স। শেষ বাঁশি বাজার পর পরিস্থিতি হয়ে উঠল ভীষণ উত্তপ্ত। দুই দলের ফুটবলাররা প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন। গত শুক্রবার রাতে বোর্দোয় অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। অলিম্পিকে অনূর্ধ্ব-২৩ দল অংশ নিলেও এই ম্যাচকে ঘিরে ভক্ত-সমর্থকদের ছিল বাড়তি উন্মাদনা। কারণ, ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের পর মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের দ্বৈরথ ভিন্ন মোড় নিয়েছে।

হাইভোল্টেজ ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে একদম শুরুর দিকে। প্রথমার্ধের পঞ্চম মিনিটে মাইকেল ওলিসের ক্রসে হেড করে বল জালে পাঠান জ্যাঁ-ফিলিপ মাতেতা। তার লক্ষ্যভেদই ফ্রান্সকে সেমিফাইনালের টিকিট পাইয়ে দিতে যথেষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধে আরেকবার অবশ্য জাল কাঁপায় থিয়েরি অঁরির শিষ্যরা। কিন্তু ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে করা ওলিসের ওই গোল ফাউলের জন্য বাতিল করে দেয় ভিএআর। বল দখল ও সুযোগ তৈরিতে যদিও আধিপত্য ছিল আর্জেন্টিনার। হাভিয়ের মাসচেরানোর শিষ্যরা ম্যাচের ৭০ শতাংশ সময় বল রাখে পায়ে। গোলমুখে তাদের নেয়া ১৬টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি। অন্যদিকে, ফ্রান্স ১০টি শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখে।

কাতার বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর মাঠের বাইরের বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ডে দুই দলের মধ্যে বেশ তিক্ততা তৈরি হয়েছে। মূল দল না খেললেও সেই ধারায় এদিন গ্যালারিও ছিল তেতে। এমনকি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুই দলের দর্শকদের মাঝে পুলিশকে অবস্থান করতে হয়। মাঠের বাইরে অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটলেও ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়রা জড়িয়ে পড়েন দ্বন্দ্বে। দুই দলের কোচিং স্টাফরাও তাতে অংশ নেন। ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় লাল কার্ড দেখানো হয় ফ্রান্সের মিডফিল্ডার এঞ্জো মিলোতকে। ফলে আগামী সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত সেমিতে মিশরের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তিনি। একই দিনে আরেক সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন ও মরক্কো। কোয়ার্টারে যুক্তরাষ্ট্রকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মরক্কো। আর জাপানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন।

উত্তেজনার ম্যাচে আর্জেন্টিনার অলিম্পিকস পদক জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চরম প্রতিশোধ নিয়েছে ফ্রান্স। শেষ বাঁশি বাজার পর পরিস্থিতি হয়ে উঠল ভীষণ উত্তপ্ত। দুই দলের ফুটবলাররা প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন।