ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪

ইতিহাস গড়ে বিশ্বের দ্রুততম মানবী আলফ্রেড

ইতিহাস গড়ে বিশ্বের দ্রুততম মানবী আলফ্রেড

অলিম্পিক গেমসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। সারা বিশ্ব এই ইভেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্যারিসে বিশ্বের দ্রুততম মানবী হওয়ার দৌড়ে যে দুটি নাম সবার উপরে ছিল তা হলো যুক্তরাষ্ট্রে শাকারি রিচার্ডসন ও জামাইকার শেলি অ্যান ফ্রেসার প্রাইস। তবে মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সেমিফাইনালের আগেই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন প্রাইস। তাতে অনেকেই মনে করেছিলেন স্বর্ণ জিততে চলেছেন মার্কিন তারকা শাকারি। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ইতিহাস গড়ে বিশ্বের নতুন দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতলেন জুলিয়েন আলফ্রেড। এরমধ্যে দিয়ে অলিম্পিকে প্রথম পদক জয়ের নজির গড়ল সেন্ট লুসিয়া। অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে আগে কখনো পদই জেতেনি লুসিয়া। সেই দেশটির নারী অ্যাথলেট জুলিয়েন আলফ্রেড এমন এক কৃতী গড়লেন যা সোনার হরফে লেখা থাকবে দেশটির ইতিহাসে। গত রোববার প্যারিস অলিম্পিকে অ্যাথলেটিকসের নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে জুলিয়েন আলফ্রেড ফিনিশিং লাইন অতিক্রম অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে চিৎকার করতে থাকেন। পরক্ষণেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। গ্যালারিতে অবস্থান করা নিজ দেশের সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে এই উদযাপন করেন ২৩ বছর বয়সি এই অ্যাথলেট।

এবারের অলিম্পিকে নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ফেবারিট ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শাক্যারি রিচার্ডসন। তাকে হারিয়ে আলফ্রেড গড়লেন দেশের জন্য ইতিহাস। জুলিয়েন আলফ্রেড স্বর্ণ জিততে সময় নেন ১০.৭২ সেকেন্ড। পেছনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ডসনের টাইমিং ১০.৮৭। ব্রোঞ্জও জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট। ১০.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন মেলিসা জেফেরসন। আলফ্রেড স্বর্ণজয়ের পর আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। ঐতিহাসিক ওই বিজয় তিনি তার প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেন। ১১ বছর বছর আগে তার বাবা মারা গেছেন। আলফ্রেড বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-ঈশ্বর, আমার প্রশিক্ষক, এবং সবশেষে আমার বাবা। আমার বাবার বিশ্বাস ছিলো, আমি এমন কিছু করতে পারবো। তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মঞ্চে তিনি আমাকে দেখতে পাননি। কিন্তু তিনি সবসময়ই তার মেয়ের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অহংকার করবেন।’ দীর্ঘদিন পর অলিম্পিকের ১০০ মিটারের পদক তালিকায় জ্যামাইকার কেউ নেই। ফ্রেজার-প্রাইস নাম তুলে নেয়ায় একমাত্র টিয়া ক্লেটন ছিলেন ফাইনালে। তিনি শেষ করেন সপ্তম স্থানে। তবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের জুলিয়েন আলফ্রেড চমকেই দিয়েছেন সবাইকে। সেন্ট লুসিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার। এর আগে অলিম্পিকে কোনো পদক ছিল না তাদের। সেই আক্ষেপটা দ্রুততম মানবী হয়ে মেটালেন উসাইন বোল্টকে আদর্শ করে বেড়ে ওঠা জুলিয়েন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর পরিচিতি আছে তিন লাইনে। প্রথমে লেখা ‘অ্যাথলেট’। দ্বিতীয় লাইনে সেন্ট লুসিয়ার পতাকা। তৃতীয় লাইনে লেখা ‘রোমানস ৮.১৮’। এটি বাইবেলের একটি লাইন, যার অর্থ-তুমি আগামীতে যে সাফল্য পেতে চলেছ তার সঙ্গে এখনকার কষ্টের কোনো মিল নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত