বাংলাদেশকে অভিনব প্রস্তাব পাকিস্তানের

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোন ও জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এমন পরিস্থিতিতে সারাদেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যে কারণে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফরও। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান এখন পর্যন্ত অজানা। এছাড়া ক্রিকেট বোর্ডে নেই কোনো নির্বাহী। এমন পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশের জন্য অভিনব প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। চলমান অস্থিরতার মাঝে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনুশীলন নির্বিঘ্ন করতে আগেভাগেই রাওয়ালপিন্ডিতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে পিসিবি। তাদের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রথম টেস্টের ম্যাচভেন্যু রাওয়ালপিন্ডিতেই অনুশীলন করতে পারবেন টাইগার ক্রিকেটাররা।

পিসিবির এক সূত্রের উল্লেখ করে ভারতীয় গণমাধ্যম পিটিআই জানায়, টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত সময় থাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ট্রেইনিং এর জন্য সকল সুবিধাও দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে।

যদিও বিসিবি থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করা হয়নি। এদিকে পাকিস্তানের উদ্দেশে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের নির্ধারিত সূচিও পিছিয়েছে এই জটিলতার মাঝে। ৮ তারিখই উড়াল দেয়ার কথা ছিল। সেটা পেছানো হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার জন্য। ১৭ আগস্ট মূল স্কোয়াডের সেখানে থাকার কথা। কিন্তু ‘এ’ দলের নতুন সূচি এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা যায়নি। পিসিবির সেই সূত্র পিটিআইকে জানায়, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগের ওপর জোর দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে তা বেশ চ্যালেঞ্জিং, ‘বিসিবি প্রেসিডেন্ট (নাজমুল হাসান পাপন) নিজেও দেশ ছাড়ছেন। বোর্ড ঠিকভাবে কাজ করছে না।’

এদিকে টানা কয়েকদিন স্থগিত থাকার পর শুরু হয়েছে জাতীয় দলের অনুশীলন। গতকাল বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের রাডারে থাকা ক্রিকেটাররা অনুশীলনে নেমেছেন পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে। বিগত এক মাসের ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এদিনই প্রথম মিরপুরের সবুজ মাঠে পা রাখলেন ক্রিকেটাররা। টানা ৩৬ দিনের এই আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩ শতাধিক মানুষ। অনুশীলন পর্বের শুরুতে সেই শহীদদের স্মরণ করলেন ক্রিকেটাররা।

শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ছিল মোনাজাত। সেই সঙ্গে ছিল ১ মিনিটের নীরবতা। এরপরেই নিয়মিত অনুশীলন পর্ব শুরু করেন তারা।